'যেভাবে ভোট করানো হল তা এককথায় চ্যাংড়ামো, সব উত্তর আমি বুঝে নেব', হুঙ্কার মমতার
কলকাতা, ২ মে : এখনও শেষ দফার নির্বাচন বাকি। আর তারই প্রচারে ফের বিস্ফোরক তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। নির্বাচন কমিশনের তদারকিতে কেন্দ্রীয় বাহিনি দিয়ে যেভাবে ভোট পরিচালানা করা হয়েছে তাকে এককথায় 'চ্যাংড়ামো' বলে ব্যাখ্যা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভোটের শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাপাদাপিকে ভাল চোখে নেননি মুখ্যমন্ত্রী। এর আগেও বলেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী তো তিন দিন। তারপর তো সব আমাদেরই দেখতে হবে। শেষ দফার ভোটের আগে এগারায় নির্বাচনী সভায় আরও একধাপ এগিয়ে সব উত্তর বুঝে নেওয়ার কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা। "কলকাতায় যেভাবে কেন্দ্রীয় পুলিশ দিয়ে ভোট করানো হল, তা এককথায় চ্যাংড়ামো। যা যা হয়েছে সব উত্তর বুঝে নেব আমি।"
প্রথম দফার দু'পর্যায়ে এমনকি দ্বিতীয় দফার কিছু ক্ষেত্রেও রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা। প্রশ্ন উঠেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও। এরপরও আরও কড়া হতে শুরু করে কমিশন। কলকাতার ভোট কড়া নজরদারিতে করানো হয়। নির্বাচনের কেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারি করে দেওয়া হয়। এমনকী পুলিশকমিশনার রাজীব কুমারকে সরিয়ে যে সৌমেন মিত্রকে নয়া কমিশনার করার পদক্ষেপ কমিশনের ভুল নয় তা প্রমান করে দেন নয়া নগরপাল নিজেও।
অবশ্য কমিশনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আগেও তোপ দেগেছেন মমতা। তবে এদিন 'নিজের' পুলিশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মমতা। এদিন তিনি বলেন, "সিপিএম-কংগ্রেস থানায় গিয়ে যা বলছে, পুলিশ তাই শুনছে। বিরোধীরা থানা কন্ট্রোল করছে।"
পাশাপাশি তিনি এও বলেন, "সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি গাঁটছড়া বেঁধেছে। ওদের সাহায্য করতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে লাগানো হয়েছে। দিল্লির কিছু দালাল পুলিশ আর এখানকার কিছু ভীতু পুলিশকে নিয়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে ওরা। অনেক নির্বাচন দেখেছি এমন নির্বাচন দেখিনি। ১৪৪ ধারা জারি করা হচ্ছে। বাড়ির বাইরে দল বেঁধে বেরতে দিচ্ছে না। গুরুত্বপূর্ণ ক্লাব ও পার্টি অফিসে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ যেন দাঙ্গার পর কার্ফু জারি করা হয়েছে।"
সবচেয়ে স্বমহিয়ায় মমতা হুঁশিয়ারি, "কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে চমকাবেন না। দুদিন বাদে আমরাই থাকব, ওরা থাকবে না।"