রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সঙ্গীত বদলে দিতে চাইছে বিজেপি, কড়া হুঁশিয়ারি মমতার
রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সঙ্গীত বদলে দিতে চাইছে বিজেপি, কড়া হুঁশিয়ারি মমতার
জাতীয় সঙ্গীত প্রশ্নে বিজেপিকে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহারের জনসভা থেকে মমতা হুঁশিয়ারি দিলেন, ক্ষমতা থাকলে 'জন গণ মন' বদলে দেখাক বিজেপি। বিজেপিকে এই মর্মে তুলোধনা করে ছাড়লেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও কেন্দ্রের একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে গর্জে ওঠেন তিনি।
জন গণ মন পাল্টে দেবে! দেখি কত ক্ষমতা
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মমতা বলেন, কেউ কেউ বলছে জন গণ মন পাল্টে দেবে। দেখি কার কত ক্ষমতা। দেখার জনগণমন পরিবর্তন করে। মমতা বলেন বিজেপির এত বড় ক্ষমতা হয় কী করে যে, তারা বলে জাতীয় সঙ্গীত পাল্টে দেবে। এই দলকে ভুলেও বাংলায় আনবেন না।
রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান নিয়ে বিজেপির টুইটকে একহাত
এদিন রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান নিয়ে বিজেপির টুইটকেও একহাত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন, এই দলটা যাঁরা করে তাঁরা বিশ্বকবির জন্মস্থান নিয়েও ওয়াকিবহাল নন। তাঁরা আবার বাংলা দখল করবে। বাংলার মানুষ ভেবে দেখুন এই বিজেপিকে আনলে কী ফল হবে। বাংলার সর্বনাশ হয়ে যাবে বিজেপি এলে।
জাতীয় সঙ্গীতে ব্যবহৃত সিন্ধু শব্দটি ছেঁটে ফেলতে হবে
উল্লেখ্য, জাতীয় সঙ্গীতে বদলের দাবিতে ১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটা চিছি লেখেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তাঁর দাবি ছিল, সিন্ধু প্রদেশ যেহেতেু এখন আর ভারতের অংশ নয়, জাতীয় সঙ্গীতে ব্যবহৃত সিন্ধু শব্দটি ছেঁটে ফেলতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান জাতীয় সঙ্গীতের একাধিক শব্দ অনাবশ্যক সংশয় তৈরি করছে।
জনগণমন-র পরিবর্তে ‘শুভ সুখ চ্যান’!
বিজেপি সাংসদের মতে, কাকে বা কোন জায়গাকে উদ্দেশ্য করে জাতীয় সঙ্গীত লেখা, স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতে তা অস্পষ্ট। রবীন্দ্রনাথের লেখা ‘আসল' জনগণমন-র পরিবর্তে ১৯৪৩-এ নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজের গাওয়া ‘শুভ সুখ চ্যান' গানটি জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে।
অনুব্রত মণ্ডল-সুব্রত বক্সিদের ফোন বিজেপির, এবার কারা 'টার্গেট’ স্পষ্ট করলেন মমতা