৬৩ টি এফআইআর করা হয়েছে, সব আইনিভাবে বুঝে নেব! রাজ্য পুলিশকে হুঁশিয়ারি মমতার
সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে নানা সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্য পুলিশকেও (state police) দেওয়া সুবিধার পরিমাণ বাড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। কিন্তু নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে সেই
সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে নানা সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্য পুলিশকেও (state police) দেওয়া সুবিধার পরিমাণ বাড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। কিন্তু নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে সেই রাজ্য পুলিশই কিনা ভয় পাচ্ছে। এদিন এমনটাই মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে (nandigram) করা এফআইআর-এর সবকটি তিনি আইনিভাবে বুঝে নেবেন বলেও জানিয়েছেন।
৬৩ টি এফআইআর নিয়ে হুঁশিয়ারি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে বারবার উঠে আসছে নন্দীগ্রামের ভোটের কথা। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একের সভায় উঠে এসেছে এই প্রসঙ্গ। তিনি বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের ভোটের দিন করা ৬৩ টি এফআইআর নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সব আইনি পথে বুথে নেবেন তিনি।
রাজ্য পুলিশকে হুঁশিয়ারি
এদিন রাজ্য পুলিশের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়. তিনি বলেছেন, রাজ্য পুলিশে চাকরি করেন। অথচ নিজেরা থানায় বসে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বাড়ি বাড়ি পাঠিয়েছেন। আর কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ি বাড়ি গিয়ে অত্যাচার করেছে। তাঁর প্রশ্ন বাংলার পুলিশ এত ভয় পাচ্ছে কেন? বিজেপি ভোটারদের ভয় দেখাতে সিআইরপিএফকে কাজে লাগাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নির্বাচনের দিন আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন
নন্দীগ্রামে নির্বাচনে বাইরে থেকে লোক আনার অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ভোটের দিনে বয়ালের বুথে প্রায় দুঘন্টা সময় কাটান তিনি। সেখানেই তিনি বলেছিলেন, নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছে। সেই দিনই প্রথমবার ৬৩ টি অভিযোগ জানানোর কথা বলেছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই এমনটা করা হয়েছে। আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়ার সঙ্গে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি। সুষ্ঠু ভোটের দাবি করে রাজ্যপালকে ফোন করেছিলেন তিনি।
গুণ্ডা আমদানি করতে বাংলাদেশে
এদিন কুলপির সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, উনি বাংলাদেশ ঘুরে এসেছেন। ওখান থেকে মনে হয় কিছু গুণ্ডা আমদানি করেছেন। এদিন তিনি বলেন, বুথের ভিতরে সিআরপিএফ থাকলে বলবেন বাইরে গিয়ে দাঁড়ান। সীমান্ত এলাকায় গ্রামে গ্রামে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী ভয় দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরকে কটাক্ষ করে বলেছেন, অন্য সময় বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশকারী আমদানি করছেন। আর এবার তিনি (মোদী) ভোট চাইতে গিয়েছেন। আসলে তিনি গুণ্ডা আমদানি করতে গিয়েছেন।
নন্দীগ্রামে ভোট মিটতেই তৃণমূলে ভাঙন ধরালেন শুভেন্দু, বিজেপিতে যোগদান উত্তরবঙ্গের প্রভাবশালী নেতার