রাজ্যের ৯০টি কেন্দ্রই ডিসাইডিং ফ্যাক্টর, মতুয়া ভোট পুনরুদ্ধারে বিজেপিকে তুঘলকি তোপ মমতার
৯০টি কেন্দ্রে ডিসাইডিং ফ্যাক্টর, মতুয়া ভোট পুনরুদ্ধারে বিজেপিকে তুঘলকি তোপ মমতার
২০২১-এর লক্ষ্যে পথ চলা শুরু করে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মতুয়া ভোট ফিরিয়ে আনার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাঁপালেন এখন থেকেই। মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে তাঁর হারানো সংযোগ পুনরুদ্ধার করতে নেমেছেন তিনি। আর এই লক্ষ্যে তিনি দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে মতুয়াদের সঙ্গে সম্পর্কের কথা তুলে ধরলেন।
মতুয়া অধ্যুষিত বনগাঁয় মমতা
মঙ্গলবার উত্তর চব্বিশ-পরগনার বনগাঁ ও নদিয়া জেলার রানাঘাটে দুটি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মমতা। ২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচন হতাশজনক ফল করার পরে মতুয়া অধ্যুষিত বনগাঁয় অঞ্চলে প্রথম এই সমাবেশ করলেন তিনি। উভয় সমাবেশেই তিনি নাগরিকত্ব সংশোধন আইন এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি নিয়ে তীব্র বিরোধিতা করেন।
মহম্মদ-বিন-তুঘলকের সঙ্গে তুলনা
এই মর্মে তিনি মোদী-শাহর সরকারকে মহম্মদ-বিন-তুঘলকের সঙ্গে তুলনা করেন। বিগত কয়েক বছর ধরে মতুয়াদের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনের ভিত্তিটি ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছিল বিজেপি। লোকসভায় তা খানিকটা হলেও করতে পেরেছে বিজেপি। তাই বনগাঁ ও রানাঘাট কেন্দ্র দুটি দখল করে নিতে সম্ভবপর হয়েছে গেরুয়া শিবির।
৯০টি বিধানসভা কেন্দ্রে মতুয়ারা
এই মতুয়ারা রাজ্যের প্রায় ৯০টি বিধানসভা কেন্দ্র এবং দশটি লোকসভা আসনে আধিপত্য বিস্তার করে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অঙ্ক কষেই এই মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক ফেরাতে তৎপর হয়েছেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা এখনও অটুট। এই অবস্থায় মতুয়াদের ফেরাতে পারলে তৃণমূল অনেক নিশ্চিন্ত থাকবেন।
মতুয়াদের বেশিরভাগই বিজেপির দিকে!
বর্তমানে মতুয়া সম্প্রদায়ের বেশিরভাগই বিজেপির দিকে ঢলে পড়েছে। তবে তা নাগরিকত্বের কারণে নয়। সিএএ এবং এনআরসি হওয়ার আগে থেকেই মতুয়ারা অবহেলিত বোধ করতে শুরু করেছিল। তৃণমূল নেতাদের প্রতি মতুয়া সম্প্রদায়ের সদস্যরা আস্থা ধরে রাখতে পারছিলেন না। এর ফলে মতুয়া মহাসঙ্ঘে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছিল। এবং দুটি ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল।
মতুয়াদের উন্নয়ন বার্তা মমতার
বিজেপি গত সংসদ নির্বাচনে শাসক তৃণমূলের কাছ থেকে বনগাঁ ও অন্যান্য মতুয়া অধ্যুষিত আসনগুলি লড়াই করে ছিনিয়ে নিতে পেরেছিল। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সরকারের কাজের কথা তুলে ধরেন। বলেন, তিনি মতুয়া ওয়েলফেয়ার বোর্ড গড়েছেন। মতুয়াদের জন্য কলেজ করে দিয়েছেন। একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার উদ্যোগও নিয়েছেন।
নাগরিকদের আবার নাগরিকত্ব!
মমতা বলেন, আমি এখানে ভোটের জন্য আসিনি। আমরা বছরভর কাজ করি এবং আমরা বিজেপির মতো নই, যে দলের নেতারা নির্বাচনের ঠিক আগে ভোটের জন্য আসেন। এখানে রেল যোগাযোগ করে দিয়েছি আমি। আর বিজেপি জিতেই মাতুয়াদের নাগরিকত্ব ইস্যুতে ভুল বোঝাচ্ছেন। আপনি তো ভারতেরই নাগরিক, তাহলে আপনার আবার নাগরিকত্বের দরকার কী?
ক্ষমতায় শিখণ্ডীরা, সিএএ বিরোধীদের মোকাবিলায় রাজ্যের কাজ নিয়ে কটাক্ষ দিলীপের