মমতার মূল ‘মন্ত্রে’ রাজ্য বাজেটে এবার আলগা হচ্ছে লাল ফিতের ফাঁস, পাখির চোখ একুশে
ঊনিশের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলই একুশের বিধানসভার বাদ্যি বাজিয়ে দিয়েছিল। দু-বছর আগে থেকেই কোমর বেঁধে লড়াইয়ে নেমে পড়েছে শাসক তৃণমূল আর তাদের চ্যালেঞ্জার বিজেপি।
ঊনিশের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলই একুশের বিধানসভা ভোটের বাদ্যি বাজিয়ে দিয়েছিল। দু-বছর আগে থেকেই কোমর বেঁধে লড়াইয়ে নেমে পড়েছে শাসক তৃণমূল আর তাদের চ্যালেঞ্জার বিজেপি। লোকসভায় বিজেপির যে মহা উত্থান হয়েছিল, তারপর থেকেই সাবধানী পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে তৃণমূল। কামব্যাকের লক্ষ্যে এবার হাতিয়ার করেছে কর্মসংস্থান আর উন্নয়নকে।
তৃণমূলের পাখির চোখ বাজেটে
এই দুইয়ের লক্ষ্যপূরণে তৃণমূলের পাখির চোখ এবার বাজেট। একুশে বিধানসভা ভোটকে মাথায় রেখেই বাজেট তৈরির ভাবনা শুরু করেছে তৃণমূল সরকার। যে সমস্ত দফতর জন পরিষেবা ও পরিকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে তাদের বাজেট বরাদ্দ এবার ব্যাপক হারে বাড়তে পারে।
৫২টি দফতরকে নিয়ে পরিকল্পনা
একইসঙ্গে এমন ভাবনা-চিন্তাও করা হচ্ছে যারা নম্ভেম্বরের মধ্যে বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা খরচ করতে পারবে, তাদের বরাদ্দও বাড়ানো হবে। অর্থ দফতরের তরফে তাই ৫২টি দফতরকে একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাট মেনে বাজেট প্রস্তাব পেশ করতে বলা হয়েছে।
১৫ জানুয়ারির মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা
শুক্রবার বাজেট প্রস্তাব জমা দেওয়ার সেষ দিন। বিভিন্ন দফতর থেকে বাজেট প্রস্তাব পেশ হওয়ার পরই স্পষ্ট হয়ে যাবে সরকার কোন পরিসরকে কতটা সাজাতে চাইছেন। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে পূর্ণাঙ্গ বাজেট তৈরির রূপরেখা শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কর্মসংস্থানের খোঁজ দফতরে
রাজ্য সরকার পরিষেবামূলক দফতর যেমন- পঞ্চায়েত, পুরসভা, স্বাস্থ্য, নারী ও শিশু কল্যাণ আবাসন দফতরগুলের উপর বেশি জোট দিতে চাইছে। এই সমস্ত দফতরগুলিতে কর্মসংস্থানের খোঁজ করা হবে। উন্নয়নের কাজে কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না।
মমতার মূল মন্ত্র বাজেটে
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত দফতরকেই জানিয়ে দিয়েছে, লাল ফিঁতের ফাঁস আলগা করে দ্রুত কাজ সেরে ফেলতে হবে। কোনও কাজ আটকে রাখা যাবে না। কোনও কোনও দফতরের দীর্ঘসূত্রিতার অসুখ এখনও সারেনি। তাদের কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিন মন্ত্রীকে তিরস্কার করলেন মমতা! রেহাই নেই ঘনিষ্ঠ, বর্ষীয়ানদেরও