প্রধানমন্ত্রী চাইলে বাংলার জন্য তাঁর পায়ে ধরতে পারি, কিন্তু হিউমিলিয়েট করা বন্ধ করুন, কড়া বার্তা মমতার
প্রধানমন্ত্রী চাইলে বাংলার জন্য তাঁর পায়ে ধরতে পারি, কিন্তু হিউমিলিয়েট করা বন্ধ করুন, কড়া বার্তা মমতার
প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি। হারের বদলা নিতে কাজ করছে বিজেপি। মানুষের রায় মেনে নিতে পারছে না বলেই এই ধরনের কাজ করছেন। কলাইকুণ্ডার ঘটনা নিয়ে যেভাবে প্রচার করা হয়েছে সেটা একেবারেই মিথ্যে। মুখ্যসচিবকে অকারণে টার্গেট করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী যদি চান তাঁর পায়ে ধরতে পারি কিন্তু এভাবে রাজ্য সরকারকে হিউমিলিয়েট করবেন না। বৈঠকে ডেকে অপামান করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে দিল্লিকে কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা।
মোদীকে নিশানা মমতার
সাংবিধানিক রীতি মানছে না কেন্দ্র। রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে। বাংলার হার স্বীকার করতে না পেরে একারণে রাজ্য সরকারকে নানা ভাবে অপমান করা হচ্ছে। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে কলাইকুণ্ডা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং বিজেপিকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছেন কলাইকুণ্ডা নিয়ে অসত্য খবর প্রচার করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রপাগাণ্ডা করছে। কোনও ভাবে তা মেনে নেওয়া যায় না।
প্রধানমন্ত্রীর সুরক্ষার জন্য দেরী
কলাইকুণ্ডায়
প্রধানমন্ত্রীকে
১৫
মিনিট
অপেক্ষা
করিয়েছিলেন
মুখ্যমন্ত্রী
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরকমএকাধিক
খবর
জাতীয়
সংবাদ
মাধ্যমে
প্রকাশ
করা
হয়েছে।সেগুলি
অসত্য
বলে
দাবি
করেছেন
মমতা।
নবান্নে
সাংবাদিক
বৈঠক
করে
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
বলেছেন
কলইকুণ্ডায়
তাঁর
চপার
নামতে
দেরি
করে
প্রধানমন্ত্রীর
নিরাপত্তার
জন্য।
প্রধানমন্ত্রীর
সঙ্গে
এসপিজির
কাছে
অনুমতি
চাওয়া
হয়েছিল।
এসপিজি
১
ঘণ্টা
দেরিতে
জানাবে
বলে।
তারপরে
১৫
মিনিট
কথা
হয়েছে।
সেখানে
রাজ্যের
ক্ষয়ক্ষতির
যাবতীয়
হিসেব
তুলে
ধরা
হয়েছে।
এই
নিয়ে
একারণ
রাজনীতি
করছে
দিল্লির
নেতারা।
কলাইকুণ্ডায় বিজেপির বৈঠক
কলাই কুণ্ডার বৈঠক নিয়ে প্রথমে বলা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী কেবল সাক্ষাৎ করবেন। পরে জানা যায় সেখানে বিরোধী দলনেতা, বিধায়ক,রাজ্যপাল.কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সকলেই রয়েছেন। যদি বিরোধী দলনেতা এতটাই জরুরি হয় তাহলে গুজরাতে এবং ওড়িশায় কেন বৈঠকে ডাকা হল না বিরোধী দলনেতাদের। প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। পুরোটাই প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি। অকারণে রাজ্য সরকারকে অপমান করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। বৈঠকে ডেকে অপমান করার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন মমতা।
প্রতিহিংসার রাজনীতি
বাংলার মানুেষর রায় মেনে নিতে পারছে না বিজেপি। সেকারণেই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বদলি করার চিঠি ধরানো হয়েছে। কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর দফতরই তাঁর মেয়ার ৩ মাস বাড়ানোর অনুমতি দিেয়ছে বলে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে সেই কাগজও দেখান মমতা। বিজেপি সরকারের এই পদক্ষেপে ভাল বার্তা যাচ্ছে না অন্যান্য রাজ্যের আমলাদের কাছে। বাঙালি বলেই কি আলাপনকে অপদস্ত করা হচ্ছে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।