বিজেপিকে রুখতে মমতা কোন স্ট্র্যাটেজি ধরে বেঁধে দিলেন ভোট জয়ের অঙ্ক, প্রসঙ্গ উঠল 'গদ্দার কেনা বেচার'
লক্ষ্মীবারে ১ এপ্রিল নন্দীগ্রামের বুকে মেগা লড়াই রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারীর। তার আগে এদিন নন্দীগ্রাম থেকে বহু দূরে আন্দোলনের আরও এক জমিতে সভা করেন মমতা। সিঙ্গুরে এদিনের সভায় বিজেপিকে রুখতে নয়া স্ট্র্যাটেজির একটি লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দেন কর্মীদের জন্য।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ট্র্যাটেজি
'যতদিন বাঁচব বাঘের মতো বাঁচব' এভাবেই অদিন সিঙ্গুরের মাটি থেকে বক্তব্য রাখেন মমতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সাফ ভাষায় জানান, বেচারাম মান্না থেকে অসীমা পাত্ররা জিতলে যে সরকার গঠিত হবে, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার গঠিত হবে। মমতা বলেন,ওঁরা জিতলে আমার সংখ্যা বাড়বে, আমি সরকার গঠন করতে পারব। 'আমি একা জিতে তো সরকার হবে না!'
দিদি ঠিক করে দিলেন অঙ্ক!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ' আমরা ২৯১ টি আসনে লড়াই করছি। ৩ টে আসনে পাহাড়ের বন্ধুরা লড়াই করছে।' এরসঙ্গেই দিদি বলেন, ২৯১ টার মধ্যে ২২৫-২৩০ টা সিটে জিততে হবে তৃণমূলকে। নয়তো সরকার গড়া যাবে না। আর যদি তা না হয়, তাহলে বিজেপি কী করতে পারে তাও সমর্থকদের বুঝিয়ে দেন মমতা।
বিজেপি ও হর্স ট্রেডিং নিয়ে সরব দিদি
যদি ২২৫-২৩০ আসন না পাওয়া যায়, তাহলে '৫ লক্ষ আর ৫ কোটি টাকা দিয়ে কাউকে কউকে কিনে নেবে গদ্দারদের। সুতরাং গদ্দারদের থেকে বাঁচানোর জন্য বেশি করে ভোট দিতে হবে। আর তৃণমূলকে বেশি ভোটে জেতাতে হবে।' এমনই বক্তব্য সিঙ্গুরের মঞ্চে রাখেন মমতা।
তোপ মমতার
সিঙ্গুরের
সভা
থেকে
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
দাবি
করেন,
ঘোড়া
কেনা
বেচা
হচ্ছে।
তিনি
বলেন,
'লক্ষ
লক্ষ
টাকা
নিয়ে
হোটেলে
বসে
রয়েছেন
বিজেপি
নেতারা।
কোটি
কোটি
টাকার
লেনদেন
হচ্ছে।'
মমতা
সাফ
জানান,
টাকা
ছড়িয়ে
জনগণকে
প্রভাবিত
করার
অভিযোগ
নিয়ে
বিজেপির
বিরুদ্ধে
এদিন
সরব
হন
মমতা।
প্রচার
মঞ্চ
থেকেই
মমতার
প্রশ্ন,'এই
পরিস্থিতিতে
কমিশন
কেন
কোনও
চেকিং
করছে
না?'