লকডাউন আর কতদিন! মোদীর শরীরী ভাষা বুঝে মমতা এবার নিলেন কড়া সিদ্ধান্ত
লকডাউন আর কতদিন! মোদীর শরীরী ভাষা বুঝে মমতা এবার নিলেন কড়া সিদ্ধান্ত
রাজ্যকে না জানিয়ে নির্দেশিকা প্রকাশ করল কেন্দ্র। করোনার লড়াইয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের এই ভূমিকায় গর্জে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের মধ্যে একটা স্বচ্ছতা থাকা উচিত। কিন্তু মোদী সরকার যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সেখানে কোনও স্বচ্ছতা থাকছে না। প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে শুধু ইঙ্গিত মিলল লকডাউন আরও বাড়তে পারে।
কেন্দ্রের সমালোচনায় মমতা
মমতা বলেন, কোনও সিদ্ধান্ত দৃঢ়তার সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে না। একবার বলা হচ্ছে লকডাউন আরও কড়াভাবে হ্যান্ডেল করতে হবে। আবার পরক্ষণে বলছেন দোকান-বাজার খোলা রাখতে হবে নিয়ম মেনে। মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বলেন, লকডাউন মানে লকডাউনই থাকবে, লকডাউন রেখে দোকান-বাজার খুলে রাখা যাবে না।
মোদীর ইঙ্গিতে লকডাউন
যা ইঙ্গিত তাতে আরও লকডাউন বাড়তে চলেছে। কিন্তু লকডাউন বাড়ানোর আগে প্ল্যান করা উচিত, সাধারণ মানুষের কী হবে তা স্থির করা উচিত। তা না হলে আরও অনেকদিন লকডাউন চালালে বিপদ বাড়বে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি ২১ মে পর্যন্ত আমরা জোন ভাগ করে কাজ করব। ৪৯ দিনকে মান্যতা দিয়েই তিনি পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন। লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র।
করোনায় কমিটি গঠন
মমতা বলেন, অনেক কাজ আছে রাজ্যের। শুধু একটা জায়গায় মনোনিবেশ করলে হবে না। আমাদের আরও কাজ করতে হবে। তাই করোনার বিষয়টি দেখার জন্য একটি কমিটি তৈরি করে দেন তিনি। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে চেয়ারম্যান করে তিনি পাঁচজনের ক্যাবিনেট কমিটি গড়েন। এই কমিটিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে রেখেছেন তিনি। আর রেখেছন মুখ্যসচিবকে।
মন্ত্রীগোষ্ঠীকে দায়িত্বভার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও নির্দেশ দেন, রেড, গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনে ভাগ করে কাজ চলবে। রেড জোনে যাঁরা থাকছেন, তাঁদের নিজেদেরকেও দায়িত্ব নিতে হবে। সেখানে কড়া নজরদারি থাকবে। আর অরেঞ্জ জোনে একটু শিথিল করে দেওয়া হবে। গ্রিন জোনে আরও শিথিল থাকবে। মন্ত্রীগোষ্ঠী এই বিষয়টিতে নজরদারি চালাবেন।
বাড়িতেও চিকিৎসা হতে পারে
মমতা এদিন জানান, কেউ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করাতে চাইলে করাতে পারে। টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে বাড়িতেই চলতে পারে চিকিৎসা। হোম কোয়ারেন্টাইন সবথেকে নিরাপদ। কেননা হাসপাতালে গেলে সেখানে অন্য রোগীর থেকে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একমাত্রা যাঁরা পজিটিভ, তাঁদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলতে পারে। তাই আইসোলেশন ও কোয়ানেন্টাইন বাড়িতে হলেই নিরাপদ থাকবেন রোগী।
করোনায় পজিটিভের সংখ্যা ৫০০ ছাড়াল রাজ্যে! বাংলার পরিসংখ্যান একনজরে