২০২১-এর আগে দুর্নীতি দমনে বড় পদক্ষেপ মমতার, ‘সাকসেস স্টোরি’তে স্বচ্ছতার বার্তা
২০১৯-এর নির্বাচনে জোর ধাক্কা খেয়ে ঠেকে শিখছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২১-এর আগে তাই দুর্নীতিকে একেবারেই আমল দিচ্ছে না তারা।
২০১৯-এর নির্বাচনে জোর ধাক্কা খেয়ে ঠেকে শিখছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২১-এর আগে তাই দুর্নীতিকে একেবারেই আমল দিচ্ছে না তারা। আসন্ন বিধানসভার আগে দুর্নীতিকে বিদায় দিয়ে স্বচ্ছতা আনতে নতুন পদক্ষেপ নিল মমতার সরকার। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে আর শাসক দলের নেতানেত্রীরা যাতে কোনও ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি না করতে পারে, তার জন্য কড়া হলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতি রুখতে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতি কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। মানুষ যদি কোনও ব্যাপারে কোনও অসুবিধায় পড়ে তাহলে অভিযোগ জানিয়ে সুফল মিলছে। তাই এবার দুর্নীতিকে কড়া হাতে দমন করতে অভিযোগ ও প্রতিকারের তথ্য সম্বলিত এক পদক্ষেপ নেওয়া হল। নতুন এই পদক্ষেপ হল ‘সাকসেস স্টোরি'।
সরকারের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতেই সিদ্ধান্ত
নবান্নের পক্ষ থেকে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নিজেদের সরকারের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাদ্যায়। গত মাস থেকেই গ্রিভ্যান্স সেল তৈরি করেছিলেন তিনি। এখানে সাধারণ মানুষ অভাব-অভিযোগ জানাতে পারতেন। এজন্য টোল ফ্রি নম্বর দিয়েছিলেন তিনি। আর এই সেলের মাথায় ছিলেন কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী।
সমস্ত অভাব-অভিযোগেরই নিষ্পত্তি
মুখ্যমন্ত্রী জানান, সমস্ত অভাব-অভিযোগেরই নিষ্পত্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে প্রতিটি জেলাশাসকের কাছে চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযোগকারী ও অভিযোগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দেওয়া হয়েছে। সমস্যা সমাধানের তারিখ ও অভিযোগকারীর বক্তব্যও জানতে চেয়েছে এই সেল।
তৃণমূল সরকারের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের চেষ্টায়
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন এই পদক্ষেপে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে। বিরোধীদের অ্ভিযোগকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এই কাজ করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তৃণমূল সুপ্রিমো হিসেবে নয়, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও তিনি স্বচ্ছতার নিদর্শন রাখতে চাইছেন। মানুষের কাছে তৃণমূল সরকারের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।