মুকুল-দিলীপদের মাত দিতে পিকের অনুশাসনই সব নয়, নেতাদের ফিরিয়ে বার্তা মমতার
মুকুল রায়কে গুরুত্বের পদ দেওয়ার পর থেকেই বিজেপির পালে একটু বেশি হলেও হাওয়া বইতে শুরু করে দিয়েছে। তা দেখে তৃণমূল আরও কোমর বাঁধছে।
মুকুল রায়কে গুরুত্বের পদ দেওয়ার পর থেকেই বিজেপির পালে একটু বেশি হলেও হাওয়া বইতে শুরু করে দিয়েছে। তা দেখে তৃণমূল আরও কোমর বাঁধছে। কেননা ২০২১-এর নির্বাচন জয় করে হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করাই তাঁদের প্রধান লক্ষ্য। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, তাই প্রশান্ত কিশোরের কৌশল থেকে একটু সরে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভরসা রাখছেন তৃণমূলের ভোট-ম্যানেজারদের উপর।
শোকজের চিঠিতে ‘সন্তুষ্ট' তৃণমূল
শুদ্ধিকরণের রাস্তায় নেমে অনেক নেতাকে শাস্তি দিয়েছে তৃণমূল। আবার অনেককে শোকজ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যেই অনেক নেতার শোকজের চিঠিতে ‘সন্তুষ্ট' তৃণমূল নেতৃ্ত্ব। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ বড়াই করেই তাঁদেরকে রাখছেন নয়া কমিটিতে। তাঁদের ভরসায় যুদ্ধ জয় করার আশা রাখছেন।
শোকজ হওয়া নেতারাও গুরুত্বপূর্ণ পদে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন কোনও গোষ্ঠীকেই না খেপিয়ে সকলের মেলবন্ধনে যুদ্ধ জিততে। তাই বিদ্রোহী ও বিক্ষুব্ধদের অনেককে রেখে নতুন টিম তৈরি করছেন মমতা। সম্প্রতি জলপাইগুড়িতে এই ট্রাডিশন দেখা গিয়েছে। জলপাইগুড়ির জেলা কমিটিতে বিদ্রোহী নেতাকে বড় পদ দেওয়া হয়েছে। আবার বিক্ষুব্ধ ও শোকজ হওয়া নেতাদেরও রাখা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পদে।
বিজেপিকে হটানোই যখন মূল লক্ষ্য
জলপাইগুড়ির জেলার ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে কমিটি গড়ে দিয়েছেন। এক্ষেত্রে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে বলা হয় চারজন শোকজ হওয়া নেতা যে জবাব দিয়েছেন, তাতে দল সন্তুষ্ট। তাঁরা তৃণমূলের ভাবনা ও পরিকল্পনার অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই তাঁদের রেখেই নতুন কমিটি গড়া হচ্ছে। কেননা এবার সবাই মিলে বিজেপিকে হটানোই আমাদের মূল লক্ষ্য।
দস্যু রত্নাকরের ঋষি বাল্মিকী হওয়ার তত্ত্ব
তৃণমূলের তরফে শোকজ হওয়া নেতাদের দলের সম্পদ বলে উল্লেখ করা হয়। এদিন ফের দস্যু রত্নাকরের ঋষি বাল্মিকী হওয়ার তত্ত্ব তুলে ধরেন জেলা সভাপতি কিষাণকুমার কল্যাণী। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়েছে। দল তাঁদের কাছ থেকে জবাবদিহি চেয়েছিল, তা তাঁরা করেছেন। ফলে এখন তাঁদের সক্রিয় হতে কোনও বাধা নেই।
মমতা সব পক্ষকে নিয়ে চলতে চাইছেন
আর
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
যে
সব
পক্ষকে
নিয়ে
চলতে
চাইছেন,
তাঁর
বড়
প্রমাণ
পশ্চিম
মেদিনীপুর
জেলার
পর্যালোচনা
বৈঠক।
সেখানে
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
নিজেই
বিধায়ককে
জিজ্ঞাসা
করেন
বিরোধী
গোষ্ঠীর
সঙ্গে
এখন
ঝগড়া
বন্ধ
হয়েছে
কি
না।
তারপর
বিরোধী
গোষ্ঠীর
নেতাকেও
বলেন,
মাথা
ঠান্ডা
করে
কাজ
করতে।