মমতা বোঝাবেন তাঁর সরকার মা-মাটি-মানুষেরই! ‘দিদিকে বলো’র সাফল্যে শুরু ‘চলো গ্রামে’
লোকসভায় ধাক্কা খাওয়ার পর ‘দিদিকে বলো’র সাফল্যকে হাতিয়ার করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল। উপনির্বাচনে আশাতীত সাফল্য পেয়েছে।
লোকসভায় ধাক্কা খাওয়ার পর 'দিদিকে বলো'র সাফল্যকে হাতিয়ার করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল। উপনির্বাচনে আশাতীত সাফল্য পেয়েছে। এমনকী এমন দুটি নির্বাচনে জয়যুক্ত হয়েছে তৃণমূল, যে দুটি আসন কোনওদিনও জেতেনি এর আগে। এবার লক্ষ্য আরও বড়। তাই ফের আর এক অভিযানে শুরু করতে চলেছে তৃণমূল।
তৃণমূল শুরু করছে ‘চলো গ্রামে’
‘দিদিকে বলো'তে কয়েক লক্ষ লোক তাঁদের অভিযোগ নথিভুক্ত করেছে। তৃণমূলের তরফেও তাঁদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, সমস্যার সমাধানও করা হয়েছে। এবার এই সাফল্যের পর তৃণমূল শুরু করছে ‘চলো গ্রামে'। এই প্রকল্পে জেলার ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক আধিকারিকরা গ্রামে গ্রামে পরিদর্শন করবেন। মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনবেন।
প্রশাসনিক আধিকারিকরা জনসংযোগে
অর্থাৎ আগে জনপ্রতিনিধিরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে জনসংযোগ করেছেন। এবার প্রশাসনিক আধিকারিকরা যাবেন পরিদর্শনে। ‘দিদিকে বলো'তে তৃণমূল কংগ্রেস অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের তরফে জনসংযোগ করা হয়েছে। এবার জনসংযোগে নামছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। অর্থাৎ প্রশাসনিক আধিকারিকরা জনসংযোগে সামিল হবেন।
মানুষের সমস্যার সমাধান প্রশাসন গ্রামে
ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে এই ‘চলো গ্রামে' অভিযান। এই অভিযানে জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকরা গ্রামে গিয়ে মানুষের অভিযোগ শুনবেন। মানুষের সমস্যার সমাধান সূত্র খুঁজে দেবেন। আশ্বস্ত করবেন, কোথায় কেন কাজ আটকে রয়েছে। কী হলে তাঁরা এই কাজ শেষ করতে পারবেন।
মানুষের সমস্যার সমাধান
এই ‘চলো গ্রামে' অভিযান একপ্রকার জবাবদিহি। কোথায় কী কাজের দরকার, তা যেমন সরকারি আধিকারিকরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে দেখবেন, তেমনই কোথায় কী হয়নি, কেন আটকে রয়েছে, তার জবাবদিহিও করবেন। অর্থাৎ সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতা সবকিছু মানুষের সামনে প্রকাশ করে মমতা বুঝিয়ে দিতে চাইছেন, তাঁর সরকার প্রকৃত অর্থেই মা-মাটি-মানুষের।
নাগরিকত্ব আইনে বিজেপি হল ওয়াশিং মেশিন! মিলে গেল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আর মমতার কথা