নেত্রী মমতা সর্বত চেষ্টা চালাবেন ‘ডানহাত-বামহাত’ রক্ষার, ২০২১-এর আগে নামলেন ময়দানে
মমতা সর্বত চেষ্টা চালাবেন ‘ডানহাত-বামহাত’ রক্ষার, ২০২১-এর আগে নামলেন ময়দানে
২০২১-এর নির্বাচন ক্রমশ এগিয়ে আসছে। তার আগে কৌশল রচনা দূরে থাকুক তৃণমূল কংগ্রেস এখনও ব্যস্ত ঘর গুছাতে। সম্প্রতি বেশ কিছু তৃণমূল হেভিওয়েট নেতাকে নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হচ্ছে। বিতর্কও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ডানহাত-বামহাতকে রক্ষা করার সর্বত প্রয়াস চালাবেন, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে খুবই গ্রহণযোগ্য রাজীব
সম্প্রতি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে জল্পনার পারদ চড়েছে। হঠাৎ করেই দুর্নীতি ইস্যুতে হাওড়ার দুই মন্ত্রীর দ্বন্দ্ব এখন খবরের শিরোনামে। সেই দুর্নীতি বা শুদ্ধিকরণের প্রচেষ্টা ছাপিয়ে রাজীব ইস্যুই বড় করে দেখা দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে খুবই গ্রহণযোগ্য রাজীব। তাঁর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তাঁকে স্বতন্ত্র করে দিয়েছে।
তৃণমূল ভাবনা-চিন্তা করেই পদক্ষেপ গ্রহণ করবে
এহেন নেতাকে হারাতে চান না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজীব যে মন্তব্য করেছিলেন অন্য নেতা হলে হয়তো তাঁকে শোকজের নোটিশ ধরানো হত। কিন্তু যেহেতু রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ দিয়ে ওই কথা বেরিয়েছে, সেহেতু তৃণমূল ভাবনা-চিন্তা করে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এটাই স্বাভাবিক।
দুর্নীতির সঙ্গে আপোশ করবেন না রাজীব
দুর্নীতি ইস্যুতেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন তিনি এক চুলও সরেননি তাঁর পথ থেকে। তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে লড়াই আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করছেন, আমিও তাঁর সহকর্মী হিসেবে একই লড়াই করে চলেছি। আর ভবিষ্যতেও করে যাব। দুর্নীতির সঙ্গে আপোশ করব না। তাই বলতে চেয়েছি শুধু চুনোপুঁটিদের শাস্তি দিয়ে কোনও লাভ হবে না, দলে অনেক রাঘববোয়াল, রুই-কাতলা আছে। তাদেরও শাস্তি দিয়ে দুর্নীতি দমন করতে হবে।
রাজীবকে নিয়ে ফিরহাদের বার্তা
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এ কথা পুরমন্ত্রী তথা জেলার পর্যবেক্ষকের সামনে বলেন। এরপরই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিম বলেন, রাজীবকে নিয়ে কোনওদিনও কোনও বিতর্ক ছিল না। আজও নেই। ফলে বিতর্কের অবসানের কোনও প্রশ্নও নেই। আমরা দলীয় বিষয় নিয়ে দলের অন্দরেই আলোচনা করতে ভালোবাসি।
রাজীব-শুভেন্দুকে হ্যান্ডেল করবেন মমতাই
বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং এই নিয়ে রাজীবের সঙ্গে কথা বলবেন। অরূপ রায় ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির নিবৃত্তি করবেন তিনিই। তেমনই শুভেন্দুকে তিনিই হ্যান্ডেল করবেন। শুভেন্দু তাঁর অতি কার্যকর এক নেতা। অনেক গুরু দায়িত্ব রয়েছে তাঁর কাঁধে। ২০২১-এ শুভেন্দু-রাজীবরাই মমতার প্রধান ভরসা।
মমতার হাতেই রাশ, লক্ষ্য একুশে
রাজ্যে সম্প্রতি মন্ত্রীদের মধ্যে সম্মুখ সমর দেখা যাচ্ছে। ফলে তৃণমূল অস্বস্তিতে পড়ছে অনেক জেলাতেই। কলকাতা থেকে হাওড়া, কোচবিহার থেকে মালদহ- সর্বত্রই গোষ্ঠীকোন্দল লেগে রয়েছে। এখন সবকিছুই কীভাবে সামলান মমতা, তার উপর নির্ভর করবে ২০২১-এ তৃণমূলের ভাগ্য।
করোনা যোদ্ধাদের পাশে মমতার সরকার, আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি চাকরিও দেবে রাজ্য