কর্নাটক থেকে রাজস্থান, ক্ষমতা হরণে বিজেপি আগ্রাসী রাজনীতিতে ভয় পেয়েই আক্রমণে শান নেত্রী মমতার
কর্নাটক থেকে রাজস্থান, ক্ষমতা হরণে বিজেপি আগ্রাসী রাজনীতিতে ভয় পেয়েই আক্রমণে শান মমতার
কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ থেকে শুরু করে রাজস্থান। যেখানে যেখানে অকংগ্রেসী সরকার তৈরি হয়েছে সেখানেই আগ্রাসী হয়ে উঠেছে বিজেপি। ক্ষমতা হরণের রাজনীতিতে মেতেছে তারা। কর্নাটক এবং রাজস্থানে জোট সরকারের পতন ঘটিয়েছে বিজেপি। রাজস্থানেও শুরু হয়েছে তোলপাড়। সেই প্রচেষ্টা পশ্চিমবঙ্গেও চালাতে পারে বিজেপি। এই আশঙ্কা থেকে মরিয়া হয়েই একুশে জুলাইয়ের শহিদ স্মরণের মঞ্চ থেকে বিজেপিকে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা।
আগ্রাসী বিজেপি
একের পর এক অবিজেপি রাজ্য দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি। কর্নাটক, থেকে মধ্য প্রদেশ একের পর অবিজেপি রাজ্য দখল করেছে গেরুয়া শিবির। এবার রাজস্থানকেও টার্গেট করেছে তারা। তার পরেই যে পশ্চিমবঙ্গকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে মোদী অমিত শাহরা সেটা আর বুঝতে বাকি নেই তৃণমূল সুপ্রিমোর। তার উপরে একে একে দলের নেতা, মন্ত্রী, সাংসদরা গিয়ে ভিঁড়তে শুরু করেছেন বিজেপি শিবিরে। তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে মমতা।
দলবদলের রাজনীতি
একসময়ে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড বলে যিনি পরিচিত ছিলেন সেই মুুকুল রায় গিয়ে ভিঁড়েছেন বিজেপি শিবিরে। সেখান থেকেই প্রথম বড় ধাক্কা মমতার। তারপরে একে একে পা বাড়িয়েছেন বিধাননগর হাতের তালুতে রাখা সব্যসাচী। মমতা ঘনিষ্ঠ শোভন চট্টোপাধ্যায়। অর্জুন সিং, ভারতী ঘোষ সহ একের পর এক তাবড় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মন্ত্রী সাংসদ। বিজেপিতে যোগ দানের এই ধারায় কিছুটা হলেও ভয় পেয়েছেন মমতা সেকারণেই একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মুকুলদের ঘরে ফেরার বার্তা দিয়েছেন মমতা।
এনআরসিতে ভোটে কোপ
বিধানসভা ভোটে বাংলার একটা বড় অংশ নিয়ে থাকে এই শরণার্থীরা। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোটা এলাকায় শরণার্থীরা একা বড় ভোট ব্যাঙ্ক তাতে কোনও সন্দেহ নেই। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই এনআরসি চালু করেছে। তাতে কোপ পড়েছে এই ভোট ব্যাঙ্কে। মমতার ভোট কমাতে বিজেপি যে এনআরসি নিয়ে আরও কড়া হবে সে আশঙ্কা রয়েছে। সেকারণেই সীমান্তের জেলা গুলিতে বিজেপি বেশি করে সক্রিয় হয়ে উঠেেছ। বনগাঁ, বসিরহাট, সুন্দরবনের জেলাগুলিতে বিজেপির প্রাধান্য বাড়ছে।
বেকরত্ব সংকট
মোদী দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর দেশে বেকারত্ব সংকট বেড়েছে। সার্বিকভাবে দেশে বেকরত্ব বাড়লেও পশ্চিমবঙ্গের রিপোর্ট কিন্তু ভাল। রাজ্যে বেকারত্বের হার গোটা দেশের তুলনায় অনেকটাই কম। আর এটাকে হাতিয়ার করেই বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে আঘাত হানতে মরিয়া মমতা। পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফেরার পরেও বেকারত্ব সংখ্যা অনেকটাই কম দেখা গিয়েছে সমীক্ষায়। তাই বেকারত্বকে বিজেপির বিরুদ্ধে হাতিয়ার করছেন মমতা। শুধু তাই নয় এনআরসি এবং এনপিআরে মানুষের নিরাপত্তা বিজেপি হরণ করতে চাইছে এই অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ত্রিফলা আক্রমণই একুশে ভোটে বিজেপিকে ধরাশায়ী করতে ব্যবহার করতে চান মমতা তারই ইঙ্গিত মিলেছে ২১জুলাইয়ের মঞ্চে।
বিজেপিতে প্রাক্তন ফুটবলার মেহতাব, গেরুয়া জার্সিতে নতুন ইনিংস শুরু দিলীপের হাত ধরে