রাজভবনে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত মমতা! 'ফাঁকা চেয়ারের' ছবি পোস্ট করে রাজ্যপাল কী জানালেন
সকালে 'সারপ্রাইজ ভিজিট' দিয়ে রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে আসেন তিনি। কিন্তু রাতে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে রাজভবনের চিরাচরিত বিশেষ অনুষ্ঠানে দেখা গেলনা রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দেশের ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসের দিন এমন চিত্র বাংলার রাজনীতিতে শিরোনাম কেড়েছে। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে টুইটারে একের পর এক কটাক্ষবাণে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানায় রাখেন রাজ্যপাল।
রাজ্যপালের ক্ষোভ
' রাজভবনে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে আরও অনেকের মতো আমিও অবাক হয়েছি। দেশের স্বাধীনতা , গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীনতা সংগ্রামীরা সর্বস্ব ত্যাগ করেছেন, আর তাঁদের সম্মার্থে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমাদের সব কিছুর (দলমতের উর্ধ্বে) উপরে ওঠা উচিত । আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।' এভাবেই মমতাকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি রাজ্যপাল।
ফাঁকা চেয়ারের ছবি পোস্ট
এদিকে, রাজভবনের অনুষ্ঠানে ফাঁকা চেয়ারের ছবি পোস্ট করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় সেই ছবিতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেমন খোঁচা দেন। তেমনই কে কে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন, তাঁদের নামও তিনি টুইটারে পোস্ট করেন। পোস্ট করেন রাজভবনের অনুষ্ঠানের বহু মুহূর্তের ছবি।
3
এর আগে সকালে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার বিকেলে 'অ্যাট হোম' নামের একটি অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিত থাকার কথা ছিল বলে, তিনি রাতে রাজভবনের অনুষ্ঠানে থাকতে পারেননি বল খবর। সেই কারণেই সকালের সৌজন্য সাক্ষাৎকারে তিনি রাজভবনে যান। তবে বিরোধীদের দাবি, রাজনৈতিক কারণেই মমতা বিকেলের অনুষ্ঠানে রাজভবনে যাননি।
মমতার রাজভবনে অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনা
বিকেলে
রাজভবনের
৪৫
মিনিটের
অনুষ্ঠানে
৩৫
জন
বিশিষ্ট
ব্যক্তিত্ব
হাজির
ছিলেন।
সেখানে
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
না
থাকা
নিয়ে,
অনেকেই
সোশ্যাল
ডিসটেন্সিংয়ের
জল্পনা
তুলে
ধরছেন।
অনেকের
দাবি,
জমায়েতে
সোশ্যাল
ডিসটেন্সিংয়ের
বিষয়টি
মাথায়
রেখেই
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্ভবত
এরকম
সিদ্ধান্ত
নিতে
পারেন।
এর
আগে
সকালে
মুখ্যমন্ত্রী
জানান,
'রাজ্যপালের
সঙ্গে
আড্ডা
দিয়ে
গেলাম।
শুভেচ্ছা
জানিয়ে
গেলাম'।