মমতাই ‘লকডাউনে’ পাঠিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসকে, বদল অবশ্যম্ভাবী
মমতাই ‘লকডাউনে’ পাঠিয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসকে, বদল অবশ্যম্ভাবী
করোনার গ্রাসে একুশে জুলাই হয়েছিল ভার্চুয়াল। কিন্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের এবার ভবিষ্যৎ কী! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের ডাকা লকডাউনের প্রকোপে এবার বন্ধ হতে বসেছে টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচি। গান্ধীমূর্তির পাদদেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য রাখা তো বন্ধই, পুরো কর্মসূচিই এবার বাতিলের মুখে।
বিকল্প উপায় খোঁজার চেষ্টা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পূর্ণ লকডাউন ডেকেছেন ২৮ অগাস্ট। ওইদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। তাই কোপ পড়ছে নিজের দলের অনুষ্ঠানে্। লকডাউনের কারণে কলকাতায় কেন্দ্রীয় সমাবেশ এবার হবে না। এখন বিকল্প উপায় খোঁজার চেষ্টা চলছে। দিন বদলই এখন একমাত্র বিকল্প হতে বসেছে।
বিকল্প দিন বাছাই শ্রেয়!
কারণ লকডাউন ইতিমধ্যেই তিনবার বদল করা হয়েছে। এমনিতেই হাস্যাস্পদ ব্যাপার হয়ে গিয়েছে। আবার যদি নিজের দলের কর্মসূচির জন্য লকডাউনের দিন পরিবর্তন করা হয়, তাহলে বিরোধীরা নিশানা করবে। ফলে নেগেটিভ প্রচার শুরু হবে। তার থেকে প্রতিষ্ঠা দিবস অন্যদিন পালন করাই শ্রেয় বলে মনে করছে তৃণমূল।
২৮ অগাস্টের কর্মসূচি বাতিল
তৃণমূল মহাসচিব জানিয়েছেন, সমস্ত দিক বিচার বিবেচনা করে দল সিদ্ধান্ত নেবে ওইদিনের কর্মসূচি নিয়ে। তবে একুশে জুলাইয়ের মতো ২৮ অগাস্টের প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচি করোনার জন্য বাতিল করা হয়েছে। প্রতি বছর গান্ধীমূর্তির পাদদেশে যে অনুষ্ঠান হয়, তা এবার হবে না।
ভার্চুয়াল সভাও বিশ বাওঁ জলে
তারপর ওইদিন লকডাউন হওয়ায় কোনও অনুষ্ঠানই আর হওয়া সম্ভব নয়। সেটাই এখন ভাবার বিষয় তৃণমূলের কাছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে গান্ধীমূর্তির সামনে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু জমায়েত সম্ভব নয়, তাই হয়তো ভার্চুয়াল বক্তব্য শুনতে পেতেন কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু তাও এখন বিশ বাওঁ জলে।
'প্রধানমন্ত্রী শিলান্যাস করে শপথ লঙ্ঘন করেছেন,কংগ্রেসও সমান দায়ী', তোপ আসাদউদ্দিনের