মুকুল-ঘনিষ্ঠ বিজেপি বিধায়ককে 'গ্রিটিংস-কার্ড' মমতার! তৃণমূলে ফেরার জল্পনা তুঙ্গে
তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে মুকুল রায়ের হাত ধরে গিয়েছিলেন বিজেপিতে। সেই দলত্যাগীকে বিধায়ককেই কি না শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে মুকুল রায়ের হাত ধরে গিয়েছিলেন বিজেপিতে। সেই দলত্যাগীকে বিধায়ককেই কি না শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার পাঠানো 'গ্রিটিংস কার্ড' বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের হাতে যাওয়ার পরই রাজনৈতিক মহলে জল্পনার পারদ চড়েছে। তাহলে কি ফের দলবদল করতে চলেছেন বিশ্বজিৎ?
কেন হঠাৎ বিশ্বজিৎ দাসকে গ্রিটিংস কার্ড
কেন হঠাৎ মমতা বিশ্বজিৎ দাসকে গ্রিটিংস কার্ড পাঠালেন। বিশ্বজিৎ কি তবে বিজেপি ছাড়ার কথা ভাবছেন, যোগাযোগ করেছেন তৃমমূলের সঙ্গে। মুকুলের শিবির ছেড়ে তিনি কি ফের ফিরতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে? বিশ্বজিৎ সেই সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন একেবারেই।
মমতার গ্রিটিংস বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিধায়ককে
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রিটিংস বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিধায়কের হাতে পৌঁছনো। সেই কার্ড বিজেপি বিধায়কের হাতে যাওয়ার পরই রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দিতে চাইছেন তাঁর এই গ্রিটিংস কার্ডের মাধ্যমে, তা-ই এখন জিজ্ঞাসা রাজনৈতিক মহলের।
নেহাতই রাজনৈতিক সৌজন্যের খাতিরে গ্রিটিংস!
বিশ্বজিৎ দাস বলেন, নেহাতই রাজনৈতিক সৌজন্যের খাতিরে মুখ্যমন্ত্রী নতুন বছরের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। রাজনীতিতে এই সৌজন্য থাকা ভালো। রাজনীতির পক্ষে শুভ লক্ষ্মণ। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন। ২০১১ ও ২০১৬ সালে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হন তিনি।
বিশ্বজিতের যোগদান তৃণমূলের কাছে অনভিপ্রেত
লোকসভা ভোটের পর দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। বিশ্বজিতের যোগদান তৃণমূলের কাছে ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর নানা ঘটনা ঘটে। তাঁকে রোগী কল্যাণ সমিতি-সহ যাবতীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী তাঁর গাড়ির উপর হামলা পর্যন্ত হয়।
বিজেপি অবশ্য স্বাভাবিক বলেই মনে করছে
তারপরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠানো গ্রিটিংস কার্ড পাওয়া কম কথা নয়। পুলিশের কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন এই গ্রিটিংস কার্ড পাওয়ার বিষয়টি। মঙ্গলবার পুলিশ এসে তাঁকে গ্রিটিংস কার্ড দিয়ে যায়। বরাবরই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন। এই ঘটনাকে বিজেপি অবশ্য স্বাভাবিক বলেই মনে করছে।
তৃণমূলকে দেখে শিখছে বিজেপি! ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে পাল্টা চাল