উত্তর-পুবের আকাশে সিঁদুরে মেঘের আনাগোনা, বিজেপির শেষের শুরু দেখছেন মমতা
কদিন আগেই উত্তর-পূর্বের তিন ছোট রাজ্যে জিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাস্তুতন্ত্রের ব্যাখ্যায় মোহিত করেছিলেন তামাম ভারতবাসীকে। এক মাস ঘুরতে না ঘুরতেই উত্তর-পূর্বেরই দুই বড়় রাজ্যে মুখ থুবড়ে পড়ল বিজেপি। আর ২০১৯-এর আগে বিজেপির এই হোঁচট খাওয়াকে শেষের শুরু হিসেবে দেখছেন বাংলার নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সুরে হুঙ্কার রাহুল গান্ধীরও।

[আরও পড়ুন: মুকুল-দিলীপদের মমতা-বিরোধিতায় 'খিল' মোদীর! পাহাড়ে শিল্প সম্মেলনের মাঝেই এল সুখবর]
গো-বলয়ে পিসি-ভাইপো জুটি বেঁধেছিলেন বিজেপির বিনাশ ঘটাতে। সমস্ত দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ আর বহুজন সমাজবাদী পার্টির মায়াবতী এক হয়েছিলেন মোদীকে হারাতে। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে সিঁদুরে মেঘ দেখাতে ১০০ শতাংশ সফল। আর লালুকে জেলে পাঠিয়েও যে বিজেপির আখেরে কিছু লাভ হয়নি, তাও বুঝিয়ে দিয়েছে অঙ্গরাজ্যের ভোটাররা।
এদিকে আবার ২০১৯-এর লক্ষ্যে আর এক পিসি-ভাইপো জুটি বাঁধার অপেক্ষায় রয়েছে। সেই জুটিকে সামলাতেও এবার মোদীর ঘাম ছুটবে বলে এখন থেকেই সেই বার্তা দিয়ে দিলেন রাহুল গান্ধী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার রাতেই সোনিয়ার ডাকে সাড়া দিয়ে ২০টি বিরোধী দল মিলেছিল এক মঞ্চে। লক্ষ্য ২০১৯-এ বিজেপি-বিনাশ। আর সেই মঞ্চে যে পিসি মমতাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েই ভাইপো রাহুলের সঙ্গে মিলিয়ে দিতে চাইছেন সোনিয়া, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: ২০০০ কোটি লগ্নি প্রস্তাবে পাহাড় মাত মমতার, দার্জিলিংয়ের দরজায় দাঁড়িয়ে লক্ষ্মী ]
এমতাবস্থায় বিজেপিকে হটাতে সুতো পাকানো শুরু হয়ে গিয়েছে। যতই বিজেপি ত্রিপুরায় ২৫ বছরের বাম শসানের অবসান ঘটাক, কিংবা ভোটে হেরে মেঘালয় দখল করুক, ২০১৯-এর লক্ষণ ভালো নয় বিজেপির পক্ষে। গুজরাট থেকে শুরু করে হালে উত্তরপ্রদেশ-বিহারের উপনির্বাচন- সবেতেই বিজেপির বিদায়-ধ্বনি সূচিত হয়েছে। মাঝে শুধু দুটি লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে গঠিত রাজ্য ত্রিপুরায় জয়লাভ। এছাড়া গুজরাটে নড়বড়ে ৯৯ থেকে শুরু করে যাবতীয় পঞ্চায়েত, পুরসভা, উপনির্বাচনে শুধু হার আর হার।
এর মধ্যে যেমন রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, তেমনই রয়েছে রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যও। আবার সামনে ভোট আসছে রাজস্থান আর মধ্যপ্রদেশে। ভোট আছে কর্ণাটক, কেরালা, ওড়িশাতেও। সেখানেও যদি এই ধারা বজায় থাকে তবে বিজেপির দিল্লির মসনদ যায় যায় অবস্থা হয়ে যাবে। পরিস্থিতি যা, বিজেপির প্রতি অনাস্থায় কংগ্রেস যদি সহযোগী দলগুলো এক করতে পারে, তাহলে তো কথাই নেই। মমতা তাই টুইট করে জানিয়ে দিলেন- বিজেপির শেষের শুরু হয়ে গেল। ২০১৯-এ পাকাপাকি বিজেপি বিদায়।