সাতদিনে পাহাড়ের ভাষা শিখে নেবেন মমতা! কার্শিয়াংবাসীর কাছে পৌঁছনোর প্রয়াস
এবার পাহাড়ে ভোট-যুদ্ধ। সম্মুখ সমরে ফের তৃণমূল বনাম বিজেপি। তার আগে পাহাড়ে প্রচারে গিয়ে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের ভাষাকেই ইস্যু করলেন।
এবার পাহাড়ে ভোট-যুদ্ধ। সম্মুখ সমরে ফের তৃণমূল বনাম বিজেপি। তার আগে পাহাড়ে প্রচারে গিয়ে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের ভাষাকেই ইস্যু করলেন। তিনি যে শুধু বাংলা নয় পাহাড়ের ভাষাও ভালোবাসেন তা বোঝালেন তিনি। নিজে তো বলার চেষ্টা করলেনই, একইসঙ্গে জানালেন এবার পাহাড়ে এসে তিনি সাতদিন থাকবেন, শিখে নেবেন তাঁদের ভাষা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার কার্শিয়াংয়ের জনসভা থেকে বলেন, আমি সব ভাষা ভালোবাসি। চেষ্টা করি বলতে। এই যে আপনাদের ভাষা দু-একটা বলতে পারছি, তা কী করে সম্ভব হল! তাও খোলসা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, পাহাড়ে ওঠার সময়ে গাড়িতে আসতে আসতেই পাহাড়বাসী চালকদের কাছ থেকে শিখে নিয়েছি।
মমতা বলেন, হাতে সময় তো খুব কম। মাত্র একদিন, দেড়দিনের জন্য আসি, এখানে আপনাদের সঙ্গে সাতদিন থাকলেই অনেকটা রপ্ত করে নিতে পারব, আপনাদের ভাষা। এবার জিতলে পাহাড়ের অনেক কাজ হবে, তখন সাতদিন থাকব। তখন আপনাদের কাছ থেকে শিখে নেব পাহাড়ের ভাষা।
উল্লেখ্য, বাংলা ভাষা আবশ্যিক করার বার্তা দেওয়ার পরই বিমল গুরুংরা পাহাড়ে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। পাহাড় উত্তাল হয়ে উঠেছিল তারপর। ক্রমেই ভাষা আন্দোলন বদলে গিয়েছিল গোর্খা আন্দেলনে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন ফের বুঝিয়ে দিলেন, কোনও ভাষাভাষির বিরোধ তিনি চান না। তিনি সকল ভাষাভাষিকেই ভালোবাসেন। সকলকে নিয়ে চলতে জানেন।
তিনি চান পাহাড় ও সমতলের মধ্যে সেতুবন্ধন করতে। এদিন তিনি বলেন, আমরাই পাহাড় ও সমতলের সেতু বন্ধনের মাধ্যম হব। গোর্খাদের আমি সম্মান করি। আমি পাহাড়ের উন্নতি চাই। পাহাড়ের সঙ্গে সমতলের মেলবন্ধন ঘটানোই আমার লক্ষ্য। তাই আমিও পাহাড়ের ভাষা শিখতে চাই।