ভবানীপুর থেকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়াই ডেস্টিনি ছিল, ভোটের আগেই ফলাফল বলে দিলেন মমতা
ভবানীপুর থেকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়াই ডেস্টিনি ছিল, ভোটের আগেই ফলাফল বলে দিলেন মমতা
চক্রবেড়িয়ায় প্রচারে গিয়ে ভবানীপুরে নিজের জয়ের বার্তা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন ভবানীপুর থেকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া ডেস্টিনি ছিল। ভবানীপুর থেকেই ভারতবর্ষ শুরু হয়। বি-ফর ভারত, বি-ফর ভবানীপুর। মনে রাখবেন। চক্রবেড়িয়ায় প্রচারে গিয়ে বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। নন্দীগ্রামে ভোটে কারচুপি হয়েছে আদালতে তা প্রমাণ করে দেবেন বলে দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। তাঁর দাবি ঠিক মত ভোট হলে রাজ্যে ৩০টি আসনও পেত না বিজেপি।
ভবানীপুরে জয়ের বার্তা
ভবানীপুর উপনির্বাচনে ফের জয়ের বার্তা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের ভোটে কেন্দ্র বদলে ছিলেন তিনি। কিন্তু ভবানীপুর থেকে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হওয়াই ডেস্টিনি ছিল। তাই ফের ভবানীপুরেই প্রার্থী হতে হয়েছে তাঁকে। তাই ভবানীপুরের ভোটারদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। তাঁকে ভোট দেওয়ার জন্য সকলে যেন সময় করে ঝড়-জল উপেক্ষা করে ৩০ সেপ্টেম্বর ভোট দেন তার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। ৩০ সেপ্টেম্বর বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেই বৃষ্টি মাথায় নিয়েই যেন সকলে ভোট দিতে যান। তার অনুরোধ জানিয়েছেন মমতা। ৩০ সেপ্টেম্বর যাতে সকলে ভোট দিতে পারেন সেদিন ছুটি ঘোষণা করেছেন তিনি। এমনকী বেসরকারি সংস্থার কর্মীরাও ছুটি এবং বেতন পাবেন বলে জানিয়েছেন মমতা।
ভবানীপুর থেকেই ভারতবর্ষ
ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিদিনই প্রচার করছেন তিনি। গত কয়েকদিন বৃষ্টির কারণে প্রচার করতে পারেননি তিনি। হাতে আর সময় নেই বৃহস্পতিবার তাই চক্রবেড়িয়ায় প্রচার সারলেন মমতা। সেই প্রচারের মঞ্চ থেকেই এক প্রকার ভোটের ফলাফল কী হতে চলেছে তা বলে দিলেন তিনি। মমতা এদিন প্রচার মঞ্চ থেকে দাবি করেছেন, ভবানীপুর থেকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়াই তার ডেস্টিনি ছিল। ভবানীপুর থেকেই শুরু হয় ভারতবর্ষ। বি-তে ভারত, বি-তে ভবানীপুর বার্তা দিয়েছেন মমতা। আর এই বার্তাতেই জাতীয় রাজনীতির সূত্র বেঁধে দিয়েছেন তিনি।
নন্দীগ্রামে কারচুপি হয়েছে
এদিন প্রচার মঞ্চ থেকে আবারও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী দাবি করেছেন, নন্দীগ্রােম ভোটে কারচুপি হয়েছে। আদালতে সেকথা তিনি প্রমাণ করে দেবেন। নন্দীগ্রামে মনোনয়ন জমার দিনেই আহত করা হয়েছিল তাঁেক। ভাঙা পা নিয়েই প্রচার করেছেন। কুৎসা এবং অপপ্রচার চালিয়েও বিজেপি জিততে পারেনি বাংলায়। দিল্লি থেকে ডেলিপ্যাসেঞ্জারি করেও হারাতে পারেননি তিনি। কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা। এমনকী তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দাবি করেছেন ঠিক মত ভোট হলে রাজ্যে ৩০টি আসনও পেত না বিজেপি।
ত্রিপুরায় দুর্গাপুজো হবে কীভাবে
একুশের ভোটের আগে বঙ্গে দুর্গাপুজো নিয়ে সরব হয়েছিল বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনে রাজ্যে দুর্গাপুজো করা যায় না বলে বারবার অভিযোগ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তার পাল্টা জবাবে চক্রবেড়িয়ার প্রচার মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যাঁরা বঙ্গের উৎসব অনুষ্ঠান নিয়ে কথা বলেন। সেই বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে দীপাবলি পর্যন্ত। তাহলে দুর্গাপুজো হবে কীভাবে? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই ১৪৪ ধারা জারি দেখিয়েই ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যােয়র মিছিের অনুমতি দেয়নি ত্রিপুরা পুলিশ।