বিজেপি ৩০টা আসনও পেত না, যদি না... স্পিকার নির্বাচনে চাঁছাছোলা ব্যাখ্যা মমতার
বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এবার বোমা ফাটালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকার নির্বাচনের পরে বিধানসভা কক্ষ থেকে মমতা বলেন, বিজেপি এবার বাংলায় ৩০টা আসনও জিততে পারত না। নির্বাচন কমিশন সহযোগিতা না করলে বিজেপির ওই ফল হয় না।
বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এবার বোমা ফাটালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকার নির্বাচনের পরে বিধানসভা কক্ষ থেকে মমতা বলেন, বিজেপি এবার বাংলায় ৩০টা আসনও জিততে পারত না। নির্বাচন কমিশন সহযোগিতা না করলে বিজেপির ওই ফল হয় না। কমিশনের সহযোগিতাতেই বিজেপি ৭৭ আসন পেয়েছে বলে দাবি মমতার।
কমিশনের সহায়তায় প্রত্যক্ষ রিগিং!
বিধানসভা থেকে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় প্রত্যক্ষ রিগিং হয়েছে ভোটে। সেই রিগিং করেই বিজেপি ওত বেশি আসন জিততে সমর্থ হয়েছে। তা না হলে বিজেপি ৩০টি আসনও জিততে পারে না।
নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার হওয়া দরকার
নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মমতা বলেন, কমিশনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা না থাকলে রিগিং করা সম্ভব হত না। এটা খুবই দুঃখের ও লজ্জার বিষয়। নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার হওয়া দরকার। আমরা ১৯৯৫ সালে থেকে সংস্কারের দাবি তুলছি। তিন জন নির্বাচিত মানুষ আর কয়েকজন রিটায়ার্ড অফিসার এক চিরকূটে বদলি করে দিচ্ছে।
বিজেপি ৩০টি আসনও পেত না
মুখ্যমন্ত্রী এদিন অধ্যক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আপনার অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন বিজেপি বিধায়করা। আমার অনুষ্ঠানও বয়কট করেছিল। আসলে ওদের সম্পূর্ণ বয়কট করেছে জনগণ। নির্বাচন কমিশন সাহায্য না করলে ওরা ৩০টি আসনও পেত না। আমি চ্যালেঞ্জ করে এ কথা বলছি।
বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন হয়নি, তৃণমূল ডাবল সেঞ্চুরি করেছে
মমতা বলেন, কীভাবে কী হয়েছে, সব দেখেছে বাংলার মানুষ। বাংলার মানুষ এর বিচার করবেন। এই নির্বাচনে আমরা যে রায় পেয়েছি, তা জনাদেশ হিসেবে মেনে নিচ্ছি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বিধানসভায় কংগ্রেস ও সিপিএম তথা বাম সদস্য নেই। আর বিজেপির লজ্জা নেই জনগণ বয়কট করার পরও। বিজেপি ডাবল ইঞ্জিন সরকার চেয়েছিল, মানুষের রায়ে তৃণমূল ডাবল সেঞ্চুরি করেছে।