দুয়ারে সরকারে সাড়ে চার কোটি মানুষ পরিষেবা পেয়েছেন, বাংলার উন্নয়ন বার্তায় মমতা
দুয়ারে সরকারে সাড়ে চার কোটি মানুষ পরিষেবা পেয়েছেন, বাংলার উন্নয়ন বার্তায় মমতা
উত্তরবঙ্গের ১১টি প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১১টি প্রকল্পে মোট ব্যয় ১১০ কোটি টাকা। দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পের মধ্য দিয়ে আমরা আপনাদের কাজ করে দিচ্ছি। রাজ্যে মোট ১.৩৭ লক্ষ দুয়ারে ক্যাম্প হয়েছে। ৬ কোটি ৪৪ লক্ষ মানুষ দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে এসেছে। তার মধ্যে ৪ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ পরিষেবা পেয়েছেন।
সরকারি কাজে গতি আনতে দিদিকে বলো এবং দুয়ারে সরকারের আয়োজন করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। প্রতি মাসে ৭২ লক্ষ মানুষকে পেনশন দিই। জয় জহর, তপশিলি বন্ধু প্রকল্পে পেনশন দেওয়া হয়েছে। এই সামগ্রিক পেনশন প্রকল্পটির নাম জয় বাংলা দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম জন পরিষেবা এই পেনশন প্রকল্প। রাজ্যে মোট ২১ লক্ষ বিধবা ভাতা দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ১ কোটি ৭৫ লক্ষ মহিলাকে সম্মান দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সব উদ্বাস্তু কলোনিকে অনুমোদন দেওয়া হবে। পাহাড় সফরে গিয়ে তিনি পাট্টা বিলি করবেন। তিনি বিশ্বাস করেন, কথা কম কাজ বেশি হোক। তিনি দলের নেতা-নেত্রীদের বলেন, কাজ করে তারপর বলো। আমিও কাজ করে বলার পক্ষপাতী। আমাদের সরকারের প্রধান লক্ষ্য মানুষের উন্নয়ন।
তিনি এদিন শিলিগুড়ি ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশনের কথা বলে জানান, পাহাড়ে আরও একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হবে। ঠিক যেমনটা করেছেন শিলিগুড়িতে। আমরা চাই, জিটিএ ইলেকশন হয়ে যাক মে-জুন মাসের মধ্যে। পঞ্চায়েত ইলেকশন হোক পাহাড়ে। পাহাড়ে এখন দ্বিস্তর পঞ্চায়েত রয়েছে। ত্রিস্তরের জন্য আবেদন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছি, ত্রিস্তর করে দেওয়া হোক।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কিছু কিছু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলতে হবে। জিটিএ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলির মতামত জরুরি। তাছাড়া যাতে পাহাড়, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে শান্তি বজায় থাকে, তার জন্যও আলোচনা দরকার। আমি সেই লক্ষ্য নিয়েই পাহাড়ে যাচ্ছি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন রামপুরহাট নিয়েও বিজেপি-সহ বিরোধীদের একহাত নেন। তিনি বলেন, কেউ কেউ যখন নিজেকে সামলাতে পারে না তখন হামলার পথ বেছে নেয়। আমি দায়িত্ব নিয়েই বলছি, রামপুরহাটের ষড়যন্ত্র হয়েছে। বাংলার বদনাম করলে মানব না। বাইরে থেকে এসে চ্যানেল করে বাংলার বদনাম করা হচ্ছে। আগামী দিনে এর ফয়সালা মানুষ করে দেবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন প্রশ্ন তোলেন, বিহারে ১০ জন পুড়ে মারা গেল। কেউ তো কোনও কথা বলেনি। কেরালা থেকে ৪ জন দেহ এল, সিপিএম নেতারারা কংগ্রেস নেতারা ভুলে গিয়েছেন। কাশ্মীর থেকে ফিরে এল মৃতদেহ। বিজেপি ভুলে গেল সব। উন্নাও, হাথরস সব ভুলে গেলে। আর বীরভূমে একটা ভুল হয়েছে। প্রথমে পুলিশ ভুল করেছে। আমরা তার ব্যবস্থা নিয়েছি। সিট সঠিক পথেই এগোচ্ছিল এখন সিবিআই তদন্তভার নিয়েছে। তদন্ত করুক, আমরা সহযোগিতা করব। কিন্তু তদন্তের নামে অন্য কিছু হলে ছেড়ে কথা বলব না।