এক পায়ে বাংলা জয়, দুই পায়ে দিল্লি! একুশে দাঁড়িয়ে চব্বিশের সুর বাঁধলেন মমতা
এক পায়েই বাংলা জয় করব, আর আগামী দিনে দুই পায়ে দিল্লি জয়ও করতে হবে৷ এদিন এই ভাষাতেই একুশের বাংলায় দাঁড়িয়ে ২০২৪ সালের লোকসভার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে নন্দীগ্রামের ভোট পর্ব মিটতেই বিজেপি দাবি করেছিল মমতা হারছেন, আর তাই তিনি অন্য কোনও আসনে লড়তে চলেছেন। আর এরপরই তৃণমূল পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ২০২৪-এ মোদী বনাম মমতার জল্পনা উস্কে দিয়েছিল। এই আবহে এদিন মমতার এই বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
'বিজেপি হল চোরেদের দল'
এদিন মমতা আরও অভিযোগ করেন, বিজেপি হল চোরেদের দল৷ বাবুল সুপ্রিয় বলেছিল, সারদা হল রোজভ্য়ালির প্রথম রোজ৷ আর লকেট তো সারদার গলার লকেট৷ তবু তাঁরাই সাংসদ ও বিধায়ক হবে। ওদের বিরুদ্ধে কোনও মামলা হচ্ছে না৷ হুগলির চুঁচুড়ার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও অভিযোগ করেন, বিজেপির কোনও প্রার্থী নেই বলেই সাংসদদের প্রার্থী করতে হচ্ছে বলেও কটাক্ষ করেন তিনি৷
'লোক নেই বলেই একই লোককে বারবার প্রার্থী করছে'
চুঁচুড়ার সভায় বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে মমতা বলেন, 'বিজেপির একই প্রার্থী সব নির্বাচনে দাঁড়ান৷ সাংসদ দাঁড়িয়েছেন বিধানসভা ভোটে, এরপর তিনি দাঁড়াবেন পঞ্চায়েত ভোটে, তারপর স্কুল পরিচালন কমিটি-সহ সব নির্বাচনে লড়বেন৷ বিজেপির কোনও স্থানীয় লোক নেই বলেই একই লোককে বারবার প্রার্থী করছে৷'
দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে এলাকায় ক্ষোভ
এ দিন দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে এলাকায় যা ক্ষোভ রয়েছে, তার প্রশমন করার চেষ্টা করেন মমতা৷ তিনি বলেন, 'তপন মজুমদার দুষ্টু মিষ্টি ছেলে৷ ও আর তপন দাশগুপ্তকে হয়তো অনেকে পছন্দ করেন না৷ তাঁদের বলি, ওঁদের ক্ষমা করে দিন৷ আমি ওঁদের বুঝিয়ে দিয়েছি৷ আর ওঁরা কোনও ভুল করবে না৷ ওঁরা গদ্দার, মীরজাফরদের মতো নয়৷ দলের কোনও ক্ষতি করবে না৷ তাই নির্দ্বিধায় ভোটটা ওঁদের দিন৷ ওঁদের ভোট দিলেই আমার জমি শক্তি হবে৷'
বাংলাকে লুঠ করতে টাকা নিয়ে এসেছে বিজেপি
বিজেপি বাংলাকে লুঠ করতে টাকা নিয়ে এসে রাজ্যে ছড়াচ্ছে বলে অভিোগ মমতার৷ সুকমায় জওয়ানের মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে তাঁর তোপ, বিজেপির অন্য কোনও দিকে মন নেই৷ ওঁদের সবাই বাংলায় এসে পড়ে রয়েছেন৷ পরের দফার ভোটগুলিতে তৃণমূলের এজেন্টদের ভয় দেখানো হলে, তাঁরা যদি ভয়ে বুথে না-বসেন, তাহলে কন্যাশ্রী ও অন্যান্য মহিলাদের সেই দায়িত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি৷ নন্দীগ্রামে তৃণমূলের এজেন্টকে ভয়ের কারণে বসতে দেয়নি তাঁর পরিবার৷ সেই প্রসঙ্গ তুলেই তৃণমূল নেত্রী বলেন, 'কেউ ভয় দেখালে তাঁদের ভিডিও রেকর্ড করে তা ভাইরাল করে দিন৷ মহিলারা একজোট হয়ে এটা করুন৷'