সিএবি আর এনআরসি একই মুদ্রার দু-পিঠ, রাজনৈতিক ফায়দা তোলার লক্ষ্যে বিজেপি
বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস মনে করে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল অর্থাৎ সিএবি আর জাতীয় নাগরিক নিবন্ধক অর্থাৎ এনআরসির মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে।
বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস মনে করে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল অর্থাৎ সিএবি আর জাতীয় নাগরিক নিবন্ধক অর্থাৎ এনআরসির মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে। পরবর্তীকালের নির্বাচনী বিকাশ লাভ করার উদ্দেশ্যেই তা কার্যকর করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর তার বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েই রাজ্যে সাম্প্রতিক উপনির্বাচনগুলিতে ফায়দা তুলেছে তৃণমূল।
লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশের দিনে তৃণমূল জানিয়েছিল, সিএবি এবং এনআরসি একই মুদ্রার দুটি দিক। আমরা ভারতের নাগরিক তা প্রমাণ করার জন্য আমাদের সকলের কাছে কিছু দলিল রয়েছে। হঠাৎ করে কেউ এসে আমাদের নাগরিকত্বের অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করতে পারে না।
তৃণমূলের অভিযোগ, আমরা দেখেছি কীভাবে ১৯ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে অসমের এনআরসি থেকে। তার মধ্যে আবার ১২ লক্ষই হল হিন্দু বাঙালি। এদিকে হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান-সহ অন্যান্যদের শরণার্থী তকমা দিয়ে নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে বলে সিএবি আনছে কেন্দ্রীয় সরকার। এটা আরও বড় একটা ফাঁদ। এরপর এনআরস প্রয়োগের চেষ্টা করা হবে।
সোমবার খড়গপুরে এক সভা থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, আমরা বাংলায় এনআরসির অনুমতি দেব না। ২০২০ সালের মাঝামাঝি রাজ্যের পুরসভা নির্বাচন হওয়ার কথা এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টি জিতেছিল বিজেপি। তারপরই গেরুয়া শিবির বাংলাকে টার্গেট করে এগচ্ছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সিএবি-র মাধ্যমে এনআরসি থেকে বঞ্চিত হিন্দুদের উদ্বেগের সমাধান ঘটাতে। ২০২৪ সালের আগে দেশব্যাপী এই নাগরিকত্ব বিলের প্রয়োগ ঘটিয়ে নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেই লক্ষ্যেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস করার তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
রাজ্য শরণার্থী, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগের রেকর্ড বলছে, ১৯৪৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ) থেকে ভারতে প্রবেশকারী শরণার্থীর সংখ্যা ছিল তিন মিলিয়ন। ১৯৭১-এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় মিলিয়নে। এরপর গত কয়েক দশক ধরে অসংখ্যক মুসলিমও বেআইনিভাবে বাংলায় প্রবেশ করেছে। এটি কোনও রাজনৈতিক দল অস্বীকার করে না।
১ লক্ষ শ্রীলঙ্কান শরণার্থীকে ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের আর্জি ধর্মগুরু রবিশঙ্করের