বিজেপিকে ভার্চুয়াল টক্কর তৃণমূলের! একুশে জুলাই নয়া রেকর্ড গড়তে উদ্যোগী নেত্রী মমতা
বিজেপিকে ভার্চুয়াল টক্কর তৃণমূলের! একুশে জুলাই নয়া রেকর্ড গড়তে উদ্যোগী মমতা
করোনার আবহে যুযুধান তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি ডিজিটাল যুদ্ধে নেমেছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার ভার্চুয়াল সমাবেশ করে ফেলেছে বিজেপি। এবার মমতা নামছেন ভার্চুয়াল ব়্যালিতে। ডিজিটাল যুদ্ধের প্রারম্ভিক পর্বে বিজেপিকে হ্যাশটাগে মাত দিয়েছে তৃণমূল। এবার তৃণমূল চাইছে ভার্চুয়াল টক্করে বিজেপিকে ধরাশায়ী করতে।
ভার্চুয়াল ব়্যালিতে অনন্য রেকর্ডের লক্ষ্যে
তৃণমূলের এই লক্ষ্যে সাতদিন আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। ২১ জুলাই শহিদ দিবসে তৃণমূলের লক্ষ্য অমিত শাহের ভার্চুয়াল ব়্যালিকে টপকে অনন্য রেকর্ড গড়ার। সেইজন্য ওইদিন দুপুর ২টো থেকে ৩টে পর্যন্ত সমস্ত সদসদ্যদের মমতার ভাষণে মনোনিবেশ করতে আর্জি জানানো হয়েছে।
‘বাংলার গর্ব মমতা’র কাছে গোহারা বিজেপি
ইতিমধ্যে বিভিন্ন হ্যাশট্যাগ নিয়ে লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে। সম্প্রতি ‘বাংলার গর্ব মমতা'র পাল্টা ‘বাংলার লজ্জা মমতা' হ্যাশট্যাগ তৈরি করে জোর প্রচারে নামে বিজেপি। কিন্তু তা আদতে ‘বাংলার গর্ব মমতা'র কাছে গোহারা হেরেছে। ‘বাংলার গর্ব মমতা' যখন কলকাতায় টুইটার ট্রেন্ডিংয়ে এক নম্বরে বিরাজ করছে, তখন বিজেপির ‘বাংলার লজ্জা মমতা' রয়েছে ৫ নম্বরে।
তৃণমূলকে এক নম্বরে রাখাই চ্যালেঞ্জ
সেই নিরিখেই একুশে জুলাই কলকাতা ও জাতীয় টুইটার ট্রেন্ডিংয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূলকে এক নম্বরে রাখাই চ্যালেঞ্জ। তৃণমূলের ব্যাক অফিস এই লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে নিরন্তর। তৃণমূল নেত্রীর নামে যে সমস্ত পেজ রয়েছে ফেসবুকে, সেখানেও সাম্রাজ্য আরও বিস্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
একুশে জুলাই তৃণমূলের লক্ষ্য রেকর্ড
এতদিন তৃণমূলের লক্ষ্য ছিল একুশে জুলাই ধর্মতলায় শহিদ সমাবেশে ভিড়ের রেকর্ড গড়ার। এবার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে করোনা। অনলাইনে তাঁর ভাষণ শুনতে ভার্চুয়ালি কত মায়েত হল, সেদিকেই দৃষ্টি দলের। কত সংখ্যক মানুষ নেট দুনিয়ায় তাঁর ভাষণে শুনছে, তার ভিউ অনুযায়ীই ট্রেন্ড ঠিক হবে।
অমিতের ভার্চুয়ালে জয়ী তৃণমূল
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রথম দিল্লির বিজেপি সদর দফতর থেকে তাঁর দ্বিতীয় ভার্চুয়াল সমাবেশ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের নেতাদের সঙ্গে। বিহারের পরে এই ভার্চুয়াল সমাবেশ হয় পশ্চিমবঙ্গে। তা নিয়ে নেটদুনিয়া উত্তাল হয়ে উঠেছিল। এই যুদ্ধে শেষপর্যন্ত বিজেপিকে গোহারা হারিয়ে জয়ী হয় তৃণমূলই।
বেঙ্গল রিজেক্টস করে অমিত শাহকে
সেদিনই প্রথম হ্যাশট্যাগ যুদ্ধে সামিল হয়েছিল তৃণমূল। ‘বেঙ্গল রিজেক্টস অমিত শাহ' হ্যাশট্যাগে বিজেপিকে ধরাশায়ী করে ছাড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। ট্রেন্ডিংয়ে সকাল থেকেই বিজেপির হ্যাশট্যাগ ‘বাংলার জন সমাবেশ' এগিয়ে থাকার পর তৃণমূলের হ্যাশট্যাগ সেই ট্রেন্ডকে টপকে যায়। তৃণমূলের হ্যাশট্যাগ ‘বেঙ্গল রিজেক্টস অমিত শাহ' সেদিন কলকাতায় প্রথম ছিল।
হ্যাশট্যাগের পরিসংখ্যানে তৃণমূল বনাম বিজেপি
বিজেপিকে হটিয়ে টুইটার দখল করে নেয় তৃণমূলের ‘বেঙ্গল রিজেক্টস অমিত শাহ'। টুইটারে কলকাতার ট্রেন্ডিং তালিকার শীর্ষে অবস্থান করতে থাকে ওই হ্যাশট্যাগ। দীর্ঘক্ষণ তৃণমূলের হ্যাশট্যাগ ওই অবস্থায় স্থিতিশীল ছিল। তৃণমূলের হ্যাশট্যাগটি ৮৫,০০০ বার টুইট করা হয়েছিল। বিজেপির হ্যাশট্যাগটি থেকে টুইট করা হয়েছিল ৩৫,০০০ বার। ট্রেন্ডিংয়ে ডাবলেরও বেশি সংখ্যায় এগিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
‘বাংলার গর্ব মমতা’র ধাক্কায় লজ্জার হার
তারপর তৃণমূলের হ্যাশট্যাগ আবারও মাটি ধরিয়ে দিল বিজেপিকে। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে স্লোগানের লড়াই জমজমাট হয়েছে নেট দুনিয়ায়। তৃণমূল কংগ্রেস নয়া কর্মসূচি নিয়েছে- যার নাম ‘বাংলার গর্ব মমতা'। এই ‘বাংলার গর্ব মমতা' হ্যাশট্যাগে তৃণমূল ফায়দা তুলতে শুরু করতেই বিজেপি পাল্টা হ্যাশট্যাগে নিশানা শুরু করেছিল, তা হল- ‘বাংলার লজ্জা মমতা'।
নেট দুনিয়াতেও বাজিমাত তৃণমূলের
‘বাংলার গর্ব মমতা'র কাছে বিজেপির ‘বাংলার লজ্জা মমতা' ফের ধাক্কা খেল। হ্যাশটযাগ যুদ্ধে ‘বাংলার গর্ব মমতা' অনেক পিছনে ফেলে দিল ‘বাংলার লজ্জা মমতা'কে। ফের একবার জয় হল তৃণমূলের। বিজেপি ধরাশায়ী হল তৃণমূলের কাছেও। নেট দুনিয়াতেও বিজেপিকে মাত দিতে পারল না তৃণমূলকে।
বিজেপিকে টেক্কা দিয়ে প্রথম তৃণমূল
তৃণমূলের দাবি, বিজেপির নোংরা প্রচারকে বাংলার মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। জাতীয় স্তরে ‘বাংলার গর্ব মমতা' রয়েছে ১৬তম স্থানে। কলকাতায় প্রথম স্থানে। আর বিজেপির কুৎসার প্রচার ‘বাংলার লজ্জা মমতা' রয়েছে জাতীয়স্তরে ২৮তম স্থানে। বাংলায় পঞ্চম স্থানে। ফের একবার প্রমাণ হয়ে গিয়েছে মমতাকে কুৎসার প্রচার মানুষ মেনে নিচ্ছে না। বাংলার মানুষ মমতার পক্ষেই রয়েছেন।
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কলকাতা পুলিশকর্মীদের পাশে এবার সিএবি