শুভেন্দু থাকছেন না ধরেই কৌশল তৈরি তৃণমূলের! সেনাপতি হবেন কে একুশের যুদ্ধে
দীর্ঘ জল্পনার পর মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার কি তিনি দল ছাড়বেন, তা নিয়ে এখনও জল্পনা জিইয়ে রয়েছে। এরই মধ্যে তৃণমূল কৌশল সাজাতে শুরু করে দিয়েছে। শুভেন্দু দল ছাড়বেন ধরে নিয়েই একুশের ভোটের কৌশল সাজাতে শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। একেবারে সোজা সাপ্টা কৌশলে তাঁরা একুশের যুদ্ধ লড়তে চলেছেন।

বাংলার মানুষ মমতার উদ্দেশ্যে আশীর্বাদ ঢেলে দিয়েছিলেন
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৬-র নির্বাচনের আগে বলেছিলেন ২৯৪টি আসনেই তিনি প্রার্থী। তাঁকে দেখেই ভোট দিন। ভোটের শুরুতে তৃণমূলের পালে হাওয়া না থাকলেও ভোটের ফলাফল প্রকাশ হতেই দেখা গিয়েছিল, বাংলার মানুষ মমতার উদ্দেশ্যে আশীর্বাদ ঢেলে দিয়েছে। সিংহভাগ আসনেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বাংলার মুখ করে ২০২১-এর নির্বাচনে
এবার সেই সমীকরণেই ২০২১-এর ভোট লড়তে চলেছে তৃণমূল। শুভেন্দু থাকুক বা না থাকুক, তাঁদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরই ভরসা রাখবেন, সেই বিশ্বাস থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বাংলার মুখ করে ২০২১-এর নির্বাচনে ঝাঁপানোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে তৃণমূল।

বাংলায় মমতার বিকল্প একমাত্র মমতাই, মমতাতেই আস্থা
তৃণমূলের প্রধান মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় তাঁর কোনও বিকল্প নেই। বিজেপি এখনও বিকল্প কোনও মুখ সামনে এনে হাজির করতে পারেনি। তাই তৃণমূল বাংলার মানুষের সামনে রাখতে চলেছে সেই বিষয়টিই যে, বাংলায় মমতার বিকল্প একমাত্র মমতাই। বাংলার মানুষ মমতাতেই আস্থা রাখবেন, স্থির বিশ্বাস নেতৃত্বের।

শুভেন্দু দল ছাড়লে কি তৃণমূলের বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে
তৃণমূলের একাংশের কথায়, শুভেন্দু জনপ্রিয নেতা ঠিকই, আবার বিভিন্ন জেলায় তাঁর অনুগামী ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, তাও ঠিক। তবে শুভেন্দু দল ছাড়লে যে তৃণমূলের বিরাট কিছু ক্ষতি হয়ে যাবে, তা নয়। শুভেন্দু দল ছাড়লেও তাঁর সঙ্গে খুব বেশি সংখ্যক জনপ্রতিনিধি বা নেতা-নেত্রী যাবেন না। পূর্ব মেদিনীপুরেই কয়েকজন যেতে পারে, সেই শূন্যস্থান পূরণ করে নেওয়া যাবে।

সংখ্যালঘু মুসলিমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই থাকবেন
শুভেন্দুর সমর্থনের মূল ভিত্তি হল সংখ্যালঘু মুসলিমরা। মুসলিম নেই এমন জেলায় শুভেন্দুর সাফল্য নেই। শুভেন্দু দল ছাড়লে সেই সংখ্যালঘু মুসলিমরা কেউই যাবেন না তাঁর সঙ্গে মুসলিমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই থাকবেন। কেউ মমতাকে ছেড়ে যাবেন না। ফলে শুভেন্দু দল ছেড়ে গেলেও ক্ষতি হবে না।

মমতা-পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে শুভেন্দুই সবথেকে বড় নেতা
তবে তৃণমূলের একাংশ মনে করছে শুভেন্দু যদি দল ছেড়ে যায়, তবে প্রভূত ক্ষতি হবে একুশের নির্বাচনের আগে। মমতা-পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে শুভেন্দুই সবথেকে বড় নেতা বলে তৃণমূলের একাংশের ধারণা। তিনি যদি দল ছাড়েন আবার যদি বিজেপিতে যোগ দেন, তাহলে তৃণমূলের পক্ষে বিরাট ক্ষতিই হবে। মোট কথা, শুভেন্দুকে নিয়ে দু-ভাগ তৃণমূল।

শুভেন্দুর 'অরাজনৈতিক’ সভাস্থলে শিবসেনার পতাকা! একুশে নয়া সমীকরণের জল্পনা