টার্গেট ২০২১, বিজেপির নাম ও নিশান মুছে দিতে সোনিয়া-সকাশে 'নয়া চাল' মমতার
লক্ষ্য সেই ২০২১। লক্ষ্য বাংলা থে্কে বিজেপির নাম ও নিশান উপড়ে ফেলা সেজন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কোনও চেষ্টাই বাদ রাখবেন না, কোথাও কোনও ত্রুটি রাখবেন না, তা সকলেরই জানান।
লক্ষ্য সেই ২০২১। লক্ষ্য বাংলা থে্কে বিজেপির নাম ও নিশান উপড়ে ফেলা সেজন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কোনও চেষ্টাই বাদ রাখবেন না, কোথাও কোনও ত্রুটি রাখবেন না, তা সকলেরই জানান। সেইমতো সন্তর্পণে সোনিয়া গান্ধীর বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠিয়ে দিলেন তিনি। রাজনৈতিক মহল মনে করছে ২০২১-এর লক্ষ্যেই মমতা এই চাল দিয়েছেন।
রাজ্যে বিজেপির উত্থানের পর
রাজ্যে বিশালভাবে উত্থান হয়েছে বিজেপির। লোকসভা ভোটে দুই থেকে বেড়ে ১৮-য় পৌঁছে গিয়েছে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় তৃণমূল কামব্যাকের লক্ষ্যে অনেকগুলি পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রশান্ত কিশোরকে ভোট কৌশলী করে আনার পর পরিবর্তন হয়েছে প্রচার কৌশলেও।
কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ মমতার
একইসঙ্গে তিনি যে কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন। এবং দিল্লির রাজনীতিতে বিরোধী জোটের ঐক্যবদ্ধতা ছাড়াও বাংলাকে প্রাধান্য দিতে তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছেন তা নিশ্চিত। উল্লেখ্য, খড়গপুরে বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রদেশ কংগ্রেসের একাংশের পক্ষে তৃণমূলকে সমর্থনের আর্জি জানিয়েছিলেন মান্নান। তারপর সোনিয়া গান্ধী সকাশে মমতার প্রতিনিধি পাঠানো বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
নির্বাচনোত্তর পর্বে ফের এক
সোনিয়া গান্ধী বিরোধী সমস্ত দলকেই চিঠি দিয়ে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। সেই সূত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাক পাওয়াটা স্বাভাবিক ঘটনা। লোকসবা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের নেতৃত্বে সেভাবে মেনে নিতে পারেনি তৃণমূল-সহ অনেক দলই। তারপর নির্বাচনোত্তর পর্বে ফের একে অপরের সঙ্গে মিলিত হওয়া বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
নিজেদের পায়ে কুড়ুল মারলেই বিপদ
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিজেপি বিরোধী দলগুলি ভেদাভেদ করে নিজেদের পায়েই কুড়ুল মারছে। তাই আর সে সব ভয় না করে এবার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়ার বার্তা দেওয়া হল। তৃণমূল সুপ্রিমো আর ঝুঁকি নিতে চান না। সাংসদকে পাঠিয়ে তিনি তাঁর বার্তা দেন সোনিয়াকে।
২০২১-এ সরকার মা মাটি মানুষের! বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়