'আদি' নেতাদের মানভঞ্জনে বিপত্তি, বিদ্রোহের আগুনে বুমেরাং হবে না তো তৃণমূলের পুরভোট
আদি নেতাদের মানভঞ্জনে বিপত্তি, বিদ্রোহের আগুনে বুমেরাং হবে না তো তৃণমূলের পুরভোট
দলের আদি নেতা-কর্মীদের মর্যাদা দিতে গিয়ে ঘোর বিপত্তি বাধল তৃণমূলে। প্রতিদিনই নতুন করে গোষ্ঠীকোন্দল মারাত্মক রূপ নিচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এই আদি-নব্য দ্বন্দ্ব বুমেরাং হতে পারে আসন্ন ভোটে। তৃণমূলের কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করেছিল দলে আদিদের মর্যাদা দিলেই বোধহয় সুদিন ফিরে আসবে।
আদি-নব্য নেতা-কর্মীদের মিলন হচ্ছে কই
কিন্তু সেই সুদিন ফেরাতে গিয়ে যে এমন সংকট তৈরি হবে, ভাবনেনি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ভাবেননি বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের পরামর্শদাতা ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরও। অভিযোগ উঠেছে, পুরোনাদের মর্যাদা ফেরানোর অনুষ্ঠানে বহু ক্ষেত্রে ডাকা হচ্ছে না। নামেই সম্মেলন হচ্ছে। আদি-নব্য নেতা-কর্মীদের মিলন হচ্ছে কই!
পিকের তালিকায় নাম, তবু গরহাজির
আবার উল্টোসুরও রয়েছে তৃণমূলে। যেমন প্রশান্ত কিশোরের তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও আমন্ত্রণ পেয়ে যাচ্ছেন না অনেক নেতা। যেমন এক জেলার কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছে, পিকের তালিকায় নাম থাকা জেলা সহ সভাপতি গরহাজির রয়েছে বিনা কারণ দর্শিয়েই। তাঁকে নিয়ে তৈরি হয়েছে চরম জল্পনাও।
প্রশান্ত কিশোরের তৈরি্ তালিকা নিয়েও প্রশ্ন
বর্তমানে তিনি জেলা পরিষদের সদস্যও। কিন্তু দলে কোণঠাসা। তিনি প্রশান্ত কিশোরকে অস্বীকার করে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন। স্বীকৃতি সম্মেলনে তিনি গেলেন না। তিনি শুধু ওই স্বীকৃতি সম্মেলনে না গিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি, তিনি প্রশান্ত কিশোরের তৈরি্ তালিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেন।
প্রশান্ত কিশোরের টিমকে অস্বীকার
তিনি অভিযোগ করেন, দল প্রশান্ত কিশোরকে সর্বেসর্বা মনে করছে। এই তালিকা দল তৈরি করেনি। তৈরি করেছেন প্রশান্ত কিশোর। সেখানেই আমার আপত্তি। এটাকে আমি দলের কোনও কর্মসূচি বলেই মনে করি না। তিনি যেভাবে প্রশান্ত কিশোরের টিমকে অস্বীকার করলেন, তাতে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে।
বিদ্রোহের আগুন কোনওভাবে বুমেরাং না হয়
এখন প্রশ্ন উঠেছে, প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মেনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মানে দলেরই নির্দেশ। তাহলে এই সম্মেলন বা কর্মসূচিকে অমান্য করার অর্থ দলকেই অমান্য করা। এখন দেখার এই বিদ্রোহের আগুন কোনওভাবে বুমেরাং না হয়!