সিপিএমকে শেষ করার মমতার স্লোগান এখন মুখে মুখে! দাদার টাকা মারছে দিদির ভাইরা, বিস্ফোরক দিলীপ
দাদার পাঠানো টাকা দিদি আটকে রেখেছেন। দলীয় সমাবেশে এমনটাই অভিযোগ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (dilip ghosh)। দিল্লির পাঠানো চাল, গমও দিদির সরকার মেরে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বাড়ি ও পায়খানা তৈরির টাকা নিয়ে দুর্নীতি
কেন্দ্রীয় প্রকল্পে গ্রামের গরিব মানুষদের জন্য বাড়ি ও পায়খানা তৈরির টাকা দেওয়া হয়েছে। বিজেপি সরকারের আমলে রাজ্যে ৮০ লক্ষ বাড়ি তৈরির জন্য টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। এছাড়াও রয়েছে গ্রামে শৌচালয় তৈরির টাকাও। কিন্তু বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, ২০ হাজার টাকা না দিলে প্রকল্পের টাকা পাওয়া যাচ্ছে না, পঞ্চায়েত থেকে পুরসভাগুলিতে। পায়খানা তৈরির জন্য বরাদ্দ ১০ হাজার টাকার মধ্যে থেকে দুই হাজার করে মেরে দেওয়া হচ্ছে। সভায় সমবেত জনগণকেও একই সুরে সুর মেলাতে দেখা যায়।

রেশনের চাল, গমও মারছে
দিলীপ ঘোষ বলেন, দিল্লির সরকার রেশনে প্রত্যেক জন্য পাঁচ কেজি করে চাল বরাদ্দ করেছে। কিন্তু দিদি তা এককেজি করে দিয়েছে। সেইসব চাল, গম চলে যাচ্ছে বাংলাদেশে। এব্যাপারে দিন কয়েক আগে বাংলাদেশ সীমান্তে বহু ট্রাক ধরা পড়ার কথা উল্লেখ করেন তিনি। দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, গত সাত মাসে দেশে একজনও মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যাননি।

বিজেপি ক্ষমতায় এলেই আয়ুষ্মান ভারত
দিলীপ ঘোষ বলেন, জমি, ঘটি, বাটি বিক্রি করে গ্রামের মানুষ বাইরের রাজ্যে যান চিকিৎসা করাতে। কিন্তু কেন্দ্রীয় প্রকল্প থাকলে, কেন্দ্র সরাসরি হাসপাতালে টাকা পাঠিয়ে দেয়। যেসব রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় সেইসব রাজ্যে এই প্রকল্প চালু রয়েছে।

কেস দিয়ে ভয় দেখিয়ে বিজেপিকে আটকানোর চেষ্টা
দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, কেস দিয়ে ভয় দেখিয়ে বিজেপিকে আটকানোর চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। প্রায় ৩০ হাজার কেস চলছে বিজেপি নেতা, কর্মীদের বিরুদ্ধে। উল্লেখ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে বড় নেতা হলে ভুবনেশ্বরে, আর ছোট নেতা হলে মেদিনীপুর জেলে রাখা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি এইসব মামলার হিসেব হবে। তিনি বলেন, রাজ্যে বিজেপির সরকার এলে, টাকার হিসেব পাঠানো হবে। তারপর সবার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে।

কোনও চাষী দিদির সঙ্গে নেই
দিলীপ ঘোষ বলেন, কোনও চাষী দিদির সঙ্গে নেই। কেননা কেউই দিদিকে বিশ্বাস করে না। তিনি নতুন কৃষি আইনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, গ্রামের কৃষকরা দিদির সঙ্গে নেই। দিদি শহরে দালালদের নিয়ে সভা করছেন। তিনি বলেন, যতদিন তৃণমূল আছে ততদিন গরিব লোক টাকা পাবে না। পেলেও কাটমানি দিতে হবে। টাকা সরাসরি পেতে গেলে দিল্লিতে যেমন মোদী রাজ রয়েছে, ঠিক তেমনই বাংলাতেও মোদী রাজ করতে হবে।

কেশপুর হবে তৃণমূলের শেষ পুর
দিলীপ ঘোষ বলে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ঘাটাল থেকে ভোট পেয়েছিল। কিন্তু কেশপুরে বিজেপিকে ভোট দিতে দেয়নি তৃণমূল। সেটা পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বজায় ছিল। কেশপুরে প্রায় ৯০ থেকে ৯২ হাজার ভোট মেরে দেওয়া হয়েছে, তাই ভারতী ঘোষ হেরে গেছেন। মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু আগামী বিধানসভা ভোটে কেশপুরে দিদির পুলিশকে পাওয়া যাবে না। দিল্লি থেকে মোদীজির পুলিশ আসবে। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, যদি দিদির ভাইরা বুথের কাছে আসার চেষ্টা করেন, তাহলেই রুলের বারি খাবেন। তিনি বলেন, কেশপুরের ভিতরে তৃণমূলের পতাকা লাগানোর লোক নেই। পুলিশকে সামনে নিয়ে সেই কাজ করতে হচ্ছে। কেশপুর তৃণমূলের শেষপুর হবে। প্রসঙ্গত ২০০১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তথা তৎকালীন বিরোধী নেত্রী বলেছিলেন কেশপুর হবে সিপিএম-এর শেষপুর।
বুধবার থেকেই রাজ্যে চলবে লোকাল ট্রেন, নবান্নে রেল-রাজ্য বৈঠকে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত