মমতার 'রিটায়ারমেন্টে'র ব্যবস্থা পাকা! তৃণমূল নিয়ে ধারণা বদলে দিলেন দিলীপ
দিদিমনিকে রিটায়ারমেন্টে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে বিজেপি (bjp)। এদিন সকালে খড়গপুরের জফলা এলাকায় চায়ে পে চর্চায় যোগ দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh), তৃণমূলের (trinamool congress) পাশ
দিদিমনিকে রিটায়ারমেন্টে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে বিজেপি (bjp)। এদিন সকালে খড়গপুরের জফলা এলাকায় চায়ে পে চর্চায় যোগ দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh), তৃণমূলের (trinamool congress) পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (mamata banerjee) আক্রমণ করেন। যদিও এর পাল্টা দিয়েছে তৃণমূলও।
তৃণমূল কোনও পার্টিই নয়
বাংলার মানুষ পাঠান, মোঘল, ইংরেজদের ভয় পায়নি। আৎ তৃণমূল কোনও পার্টিই নয়। চোর, ডাকাত মিলে তৈরি হয়েছে দলটি। এমনটাই কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের। তিনি তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএম-এর তুলনা টানেন। বলেন সিপিএম-এর অত্যাচারকে ভয় পায়নি বাংলার মানুষ। তাদের সরিয়ে দিয়েছে। জঙ্গল, আগাছাকে উপড়ে ফেলতে বেশি সময় লাগবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ২০২১-এর পর তৃণমূলকে খুঁজে পাওয়া যাবে না, হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
যেদিন সরকার ভেঙে দেবো কোথায় যাবি
এদিন দিলীপ ঘোষের কথায় উঠে এসেছিল বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে তাঁর কনভয়ে হামলার প্রসঙ্গ। বৃহস্পতিবার প্রথমে দিলীপ ঘোষকে কালো পতাকা আর গোব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়। এরপর পথে দু জায়গায় ইট বৃষ্টি করা হয়। কনভয়ের একাধিক গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই হামলায় দিলীপ ঘোষের গাড়ির পাশাপাশি এসসি মোর্চার নেতা কানচিনির বিধায়ক উইলসন চম্প্রামারির গাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দিলীপ ঘোষের অভিযোগ ছিল পুলিশ যথাসময়ে ব্যবস্থা নেয়নি।
এদিন দিলীপ ঘোষ সেদিনের ঘটনা নিয়ে পুলিশ হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, আজকে ভাঙবি কাল কাঁচ লাগিয়ে নেব। কিন্তু যেদিন সরকার ভেঙে দেব, সেদিন যাবি কোথায়।
পাল্টা দিয়েছে তৃণমূলও
যদিও দিলীপ ঘোষের কথা নিয়ে পাল্টা দিয়েছে তৃণমূলও। এদিন তৃণমূল জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেছেন, ২০২১- সালের পর দিলীপ ঘোষ আৎ ওই জেলায় ঢুকবেন বলে মনে হয় না। কেননা জেলার সব আসনই তৃণমূল জিতবে বলে দাবি করেছেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নিয়ে বিজেপির অবস্থান স্পষ্ট নয়
দলে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জোরাল হলেও, এখনও বিষয়টি নিয়ে কোনও স্পষ্ট অবস্থান নেয়নি বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব ভাল করেই জানে, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হলে, সহানুভূমিত ভোট মুখ্যমন্ত্রীর দিকে চলে যাবে। ফলে তখন প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার লড়াই কতটা সম্ভবপর হবে, তা নিয়ে দলেই প্রশ্ন রয়েছে। তবে তারা এটাও বলছে এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তাই হয়তো দিলীপ ঘোষ বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই চাইছেন রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হোক।