মমতার ফোন ট্যাপ করেছে মোদী সরকার! হোয়াটস অ্যাপে ম্যাসেজ নিয়ে তুলকালাম
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন ট্যাপ করা হয়েছিল। এমনটাই অভিযোগ করলেন তিনি নিজে। তাঁর অভিযোগ, মোদী সরকারের তরফে তাঁর ফোনগুলিকে ট্যাপ করা হয়েছিল।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন ট্যাপ করা হয়েছিল। এমনটাই অভিযোগ করলেন তিনি নিজে। তাঁর অভিযোগ, মোদী সরকারের তরফে তাঁর ফোনগুলিকে ট্যাপ করা হয়েছিল। ফলে কোনও হোয়াটস অ্যাপ মেসেজ ঢুকছিল না তাঁর ফোনে। লোকসভা নির্বাচনের সময়ের এই ঘটনা নিয়ে মোদী সরকারকে তীব্র নিন্দা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্পূর্ণ সচেতন হয়েই এই কাজ, অভিযোগ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই ঘটনা আদতে সুরক্ষা লঙ্ঘনেরই নামান্তর। মোদী সরকার সম্পূর্ণ সচেতন হয়েই এই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ তাঁর। কমপক্ষে দুই ডজন ভারতীয় সাংবাদিক, আইনজীবী ও কর্মীদের সুরক্ষা লঙ্ঘন হয়েছে এর ফলে। মমতার অভিযোগ, এখন কিছুই নিরাপদ নয়, এমনকি হোয়াটসঅ্যাপও নয়।
পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক, দাবি মমতার
আগে আমরা ভেবেছিলাম হোয়াটসঅ্যাপকে আটকাতে পারবেন না। কিন্তু দেখলাম তা ভুল। এই বিষয়টি আমি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। আমি চাই এই বিষয়টি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক। মুখ্যমন্ত্রী এই মর্মে আরও বলেন, আমলা এবং রাজনীতিবিদদের গুপ্তচরবৃত্তিতে লাগানো হয়েছিল।
ফোন ট্যাপ করছে সরকারই
মমতার অভিযোগ, সমস্ত আইএএস ও আইপিএস অফিসার ও রাজনীতিবিদদের ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে। কাউকেই রেহাই দেওয়া হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সরকার এবং দুটি রাজ্য সরকারের নির্দেশে এটি ঘটছে। আমি রাজ্যগুলির নাম বলব না, তবে এর মধ্যে একটি বিজেপিশাসিত রাজ্য।
ফোন ট্যাপে বিদেশি সংস্থা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকার ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও-কে ব্যবহার করছে এই কাজের জন্য। তাদের দ্বারাই রাজনীতিবিদ, মিডিয়া, বিচারক, আইএএস-আইপিএস, সামাজিক কর্মী এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে।
মোদীকে নিশানা মমতার
মমতা বলেন, আপনি মানুষের গোপনীয়তা ক্যাপচার করতে পারেন না। আমাদের সংবিধানে সেই অধিকার আছে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা আছে। আমরা নির্দ্বিধায় কথা বলতে পারছি না। এখানে কী ধরনের স্বাধীনতা চলছে, জিজ্ঞাসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।