নোটার থেকেও কম ভোট পেল তৃণমূল! মানিকের রাজ্যে মমতার দল বেকায়দায়
ত্রিপুরায় ডাহা ফেল করে শূন্য পেয়েছে দুই কংগ্রেসই। আর সবথেকে শোচনীয় হাল হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। ত্রিপুরায় এবার নোটার থেকেও কম ভোট পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা।
সিপিএমের সঙ্গে প্রথম লড়াইয়ে 'কমল'-এ কামাল দেখেছে ত্রিপুরা। প্রথম সাক্ষাতেই সিপিএমকে ধরাশায়ী করে ছেড়েছে বিজেপি। বিজেপির এই বিপুল জয়ের দিনে কংগ্রেস ও তৃণমূল কোন প্রভাব তো ফেলতেই পারেনি, ডাহা ফেল করে শূন্য পেয়েছে দুই কংগ্রেসই। আর সবথেকে শোচনীয় হাল হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। ত্রিপুরায় এবার নোটার থেকেও কম ভোট পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা।
ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে এবার একেবারেই অপ্রত্যাশিত ঘটনা দুটি। এক, বিজেপির এই অভাবনীয় জয়। দুই, তৃণমূলের একেবারে শূন্যে নেমে যাওয়া। তৃণমূল কংগ্রেসের স্থান নোটার থেকেও নীচে। একটাও আসন পায়নি তৃণমূল কংগ্রেস। ১৬টি আসনে প্রার্থী দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ভোট পেয়েছে মাত্র ০.৩ শতাংশ। আর নোটা ভোট পেয়েছে ১ শতাংশ। এই অবস্থায় একেবারে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের।
গতবার ত্রিপুরায় নির্বাচনে মাত্র দুই শতাংশ ভোট পেয়েছিল বিজেপি। সেই বিজেপি ভোট বাড়িয়ে ৫০.৫ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। সেখানে শাসক দলের ভোটপ্রাপ্তি ৪৫ শতাংশ। আর ত্রিপুরার বিরোধী দল কংগ্রেস পেয়েছে ১.৯ শতাংশ। অর্থাৎ ত্রিপুরায় চার দলের লড়াই হলেও, কার্যত তা দাঁড়িয়ে যায় একের বিরুদ্ধে একে। সেখানেই মাত দিয়ে যায় বিজেপি।
পরিবর্তনের লক্ষ্যে ২০১৬-তেই এই রাজ্যে কংগ্রেস ভেঙে খান খান হয়ে গিয়েছিল। ১০ জন বিধায়কের ছজন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখান। তাঁরাই আবার চলো পাল্টাইয়ের স্লোগান তুলে চলে যায় বিজেপিতে। এরপরই বিজেপির উত্থান শুরু ত্রিপুরায়। ত্রিপুরায় বাড়তে বাড়তে দু-শতাংশের দল এখন ক্ষমতায়। আর যারা পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিল প্রথম, তারা নোটারও নীচে।