মমতার মতুয়া ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসালেন নরেন্দ্র মোদী, ২০২১-এর আগে বিপাকে তৃণমূল কংগ্রেস
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রণয়ন হওয়ার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতুয়া ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসিয়ে দিলেন মোদী। রাতারাতি ঘুরে গেল মতুয়া সমাজ।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রণয়ন হওয়ার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতুয়া ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদী। রাতারাতি ঘুরে গেল মতুয়া সমাজ। তাঁরা এখন আর কংগ্রেস, সিপিএম, তারপর তৃণমূলকে ঘুরেও দেখতে চাইছেন না। হঠাৎ মমতার ছবি সরিয়ে তাঁদের হৃদয়ে বিরাজ করতে শুরু করেছেন মোদী।
হর হর মোদী রব উঠছে ঠাকুরবাড়িতে
মতুয়া সমাজ বলছে, আগে কেউ পারেনি। সবাই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বিজেপি তাঁদেরকে স্বীকৃতি দিতে চলেছে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে। তাতেই বদলে গিয়েছে ঠাকুরবাড়ির ছবি। মমতার নাম ভুলে ঠাকুরবাড়ির সবাই হর হর মোদী রব তুলতে শুরু করেছেন।
নাগরিক আইনে ফের এককাট্টা মতুয়ারা
বড়মা থাকাকালীন মতুয়ারা ছিলেন এককাট্টা। কিন্তু বড়মার চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিভাজন রেখা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল মতুয়া সমাজে। লোকসভায় দু-ভাগ হয়ে গিয়েছিলেন মতুয়ারা। কেন্দ্র নাগরিক সংশোধনী বিলকে আইনে পরিণত করতেই ফের এককাট্টা মতুয়ারা।
সব পেয়েছেন, একটা কাগজ ছাড়া
১৯৭১ সালের পর এদেশে এসে ভোটাধিকার, রেশন কা্র্ড সবই পেয়েছেন মতুয়ারা। তবু ভিটেমাটি হারা হওয়ার আশঙ্কা যায়নি তাঁদের। এতদিনে সেই শঙ্কা ঘুচতে চলেছে। এবার মতুয়ারা বিজেপিকে ঢালাও ভোট দিয়েছেন, তারপর এই নাগরিকত্ব আইন বিজেপির তরফে উপহার! তবে হাত কাগজ না পাওয়া পর্যন্ত অবশ্য স্বস্তি নেই।
নাগরিকত্ব আইনে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে আরও ধস
বড়মা চলে যাওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রভাব কমতে শুরু করেছিল। লোকসভায় পড়েছিল সেই প্রভাব। ঠাকুরবাড়ি আর মতুয়া সমাজ আড়াআডি দু-ভাগ হয়ে গিয়েছিল। ঠাকুরবাড়ির দুই শরিকের লড়াই পৌঁছে গিয়েছিল নির্বাচনী ময়দানে। তাতে হার মানতে হয়েছিল তৃণমূলকে। এবার নাগরিকত্ব আইন আসার পর তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে আরও ধস নামতে চলেছে বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
দেশ জুড়ে এনআরসি নাগরিকত্ব বাতিল একই বিষয়, দাবি প্রশান্ত কিশোরে