শিল্পায়নের লক্ষ্যে জমি-নীতি সরলীকরণ রাজ্যে, বিনিয়োগ টানতে উদ্যোগ মমতার সরকারের
শিল্পায়নের লক্ষ্যে জমি-নীতি সরলীকরণ রাজ্যে, বিনিয়োগ টানতে উদ্যোগ মমতার সরকারের
তৃণমূল সরকারে তৃতীয় জমানায় শিল্পবান্ধব হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। রাজ্যে শিল্প সম্মেলন করার আগে শিল্পতালুক গড়ার প্রয়াসে জমি নীতিতে ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিল মমতার সরকার। নবান্নের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শুধু কলকাতা ও শহরতলির তিনে জেলা নয়, শিল্পতালুক গড়ার ক্ষেত্রে জমিল সীমায় ছাড় মিলবে গোটা রাজ্যেই।
বাংলায় ২৩ জেলায় শিল্পের অবাধ পরিসর গড়তে চলেছে রাজ্য
রাজ্যের শিল্প সহায়ক বার্তা এবং বিনিয়োগে উৎসাহ দিতেই নবান্নের এই পদক্ষেপ। কলকাতা ও কলকাতা লাগোয়া তিন জেলায় আগেই এই সুযোগ পেয়েছে। এবার এই নীতি কার্যকর হতে চলেছে বাকি রাজ্যেও। অর্থাৎ বাংলায় ২৩ জেলায় শিল্পের অবাধ পরিসর গড়তে চলেছে রাজ্য। সেইমতোই পুরো রাজ্যে সীমা নির্ধারণে ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
জমির সীমা শিথিল করল সরকার উদ্যোগপতিদের আকৃষ্ট করতে
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, জমির পরিমাণের জন্য অনেক উদ্যোগপতি শিল্পতালুকে বিনিয়োগ করতে চাইতেন না। এবার জমির সীমা শিথিল হওয়ায় উদ্যোগপতিরা আকৃষ্ট হবেন। বাড়বে শিল্প সম্ভাবনা। শিল্পসংক্রান্ত সমস্ত সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে। বাড়বে কর্মসংস্থান। শিল্প তালুক গড়তে চাইলে আগে ন্যূনতম ২০ একর জমি দেখাতে হত। কয়েকমাস আগে সেই নীতি বদলে তৃণমূল সরকার তা শিথিল করে দিল গোটা রাজ্যেই।
সারা বাংলায় জমির সুবিধা সম্প্রসারিত করার প্রস্তাবে সিলমোহর
রাজ্যের মা-মাটি-মানুষের সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রাজ্যে প্রত্যেক জেলাতেই ন্যূনতম ৫ একর জমি থাকলেই উদ্যোগপতিরা শিল্পতালুক গড়ার অনুমতি পাবেন। এর আগে এই নীতি শুধু চালু ছিল কলকাতা ও কলকাতা সংলগ্ন হাওড়া ও দুই ২৪ পরগনা জেলায়। নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভা সারা বাংলায় এই সুবিধা সম্প্রসারিত করার প্রস্তাবে সিলমোহর দিয়েছে।
শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানে বাড়তি জোর দিয়েছে মমতার সরকার
তৃণমূল সরকার জানিয়েছে, দার্জিলিং জেলাতেও একই নীতি বলবৎ থাকবে। ফলে রাজ্য সরকার এখন পাহাড়কেন্দ্রিক শিল্পের যে সম্ভাবনা রয়েছে, তা নতুন করে উৎসাহ পাবে। শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, শিল্পে উৎসাহ বাড়াতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানে বাড়তি জোর দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
রাজ্যজুড়ে শিল্পতালুক গড়ার ক্ষেত্রে জমির সীমায় ছাড় সরকারের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন রাজ্যের শিল্পায়ন ও বিনিয়োগ টানতে যাবতীয় বাধার পাহাড় সরিয়ে ফেলতে। শিল্প পর্ষদ তাই ধারাবাহিকভাবে নানা ধরনের নীতি প্রণয়ন করে চলেছে। অনেক নীতির পরিবর্তনও করা হচ্ছে। রাজ্যজুড়ে শিল্পতালুক গড়ার ক্ষেত্রে জমির সীমায় ছাড় দেওয়া হচ্ছে। তার পাশাপাশি আরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে শিল্পবান্ধব হয়ে উঠতে।
উৎসাহ ভাতা নিয়েই নমনীয় হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে নবান্ন
রাজ্য শিল্প নীতি সরলীকরণ করেই চলেছে। বেসরকারি শিল্পতালুকে লজিস্টিক সংক্রান্ত কাজকর্ম করা যেত না, সেই নীতি পাল্টে হিমঘর পরিষেবাকে শিল্পতালুকে যুক্ত করেছে আগেই। উৎসাহ ভাতা নিয়েই নমনীয় হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে নবান্ন। উৎসাহ ভাতা কাজ শেষ হওয়ার পরে দেওয়া হত। এবার তা কিস্তি অনুযায়ী আগাম দেওয়া হবে।