মমতার ভূয়সী প্রশংসা মোদী সরকারের রিপোর্টে, পঞ্চায়েতের আগে বিপাকে বঙ্গ বিজেপি
কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করা হয়েছে। তাঁর গুণগাথা লেখা- রিপোর্টের প্রতি পাতায় পাতায়।
ছত্রে ছত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। ক'দিন আগেই 'ইন্ডিয়া টুডে'র বার্ষিক সমীক্ষায় দেশের সেরা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করা হয়েছে। তাঁর গুণগাথা লেখা- রিপোর্টের প্রতি পাতায় পাতায়।
সোমবার বাজেট অধিবেশনে মোদী সরকারের অর্থমন্ত্রক একটি অর্থনৈতিক সমীক্ষা প্রকাশ করে। সেই সমীক্ষা রিপোর্টেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সাফল্যের কথা লেখা হয়েছে। এই অর্থনৈতিক সমীক্ষা প্রকাশের পর বঙ্গ বিজেপি বিব্রত বোধ করবেই। রাজ্য বিজেপির নেতারা যখন প্রচার করছেন পশ্চিমবঙ্গকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন ওই সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে- আর্থ সামাজিক উন্নয়নের নিরিখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সাফল্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
এই
অর্থনৈতিক
সমীক্ষায়
দেশের
সামগ্রিক
অর্থনীতির
পারফরম্যান্স
তুলে
ধরা
হয়েছে।
সেক্ষেত্রে
রাজ্যগুলির
সাফল্য
ও
ব্যর্থতা
প্রসঙ্গও
উত্থাপন
করা
হয়েছে।
সেখানে
মমতার
সাফল্যের
কথা
প্রতিটি
ছত্রে
উল্লেখিত।
কর
আদায়
থেকে
পরিকাঠামো
নিরূপণ,
মানবসম্পদ
উন্নয়ন-
সব
কিছুতেই
এগিয়ে
মমতার
বাংলা।
পঞ্চায়েতের
আগে
এই
প্রশংসা
বাড়তি
পাওয়া
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
তৃণমূলের।
গ্রামীণ
প্রশাসন
পরিচালনা
থেকে
শুরু
করে
স্বরোজগারের
প্রক্রিয়া
বৃদ্ধিতে
বিশেষ
উন্নতি
করেছে
পশ্চিমবঙ্গ
সরকার।
অর্থনৈতিক
সমীক্ষায়
বলা
হয়েছে,
ভূমি
রাজস্ব
ও
জমি
সংক্রান্ত
খাজনা
আদায়ে
দেশের
সেরা
রাজ্য
পশ্চিমবঙ্গ
ও
গুজরাত।
এমন
কথাও
উল্লেখ
করা
হয়েছে
এই
ভূমি
রাজস্ব
আদায়
ও
জমি
সংক্রান্ত
খাজনা
আদায়
যত
বাড়বে,
ততই
দেশের
অর্থনীতিতে
ইতিবাচক
প্রভাব
পড়বে।
আর
এখানেই
মাত
দিয়েছে
রাজ্য
সরকার।
দেশের
অর্থনীতিতে
ইতিবাচক
ভূমিকা
নিয়েছে।
এমন কথাও উল্লেখ করা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ অনেক প্রথম সারির রাজ্যকে হারিয়ে দিয়েছে রাজস্ব আদায়ে। আর্থিক কমিশনের সুপারিশ গ্রহণেও পশ্চিমবঙ্গ উপরের দিকে রয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান ও অন্ধ্রপ্রদেশ সবথেকে বেশি সুপারিশ গ্রহণ করেছে।
পানীয় জল প্রাপ্তীরে ক্ষেত্রেও পশ্চিমবঙ্গ অগ্রগণ্য। পশ্চিমবঙ্গে ৯১ শতাংশ গ্রামীণ মানুষ বিশুদ্ধ পানীয় জল পেয়ে থাকেন। সাক্ষরতা থেকে শিশুমৃত্যুর হারেও রাজ্য যথেষ্ট উন্নতি করেছে। ফলে এবার কেন্দ্রের এই অর্থনৈতিক সমীক্ষাই রাজ্যের শাসকদলের হাতিয়ার হবে আসন্ন পঞ্চায়েত ও পরবর্তী নির্বাচনগুলিতে। কেন্দ্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের গুণগান গাওয়ায় বিরোধী বধের নয়া অস্ত্রও পেয়ে গেল তৃণমূল।