২০২০-তে শুধু ছুটি আর ছুটি, বাংলায় সারাবছর ছুটির হিসেবটা দেখলে মন ভরে যাবে খুশিতে
কর্মীদের কাছ থেকে কাজ পেতে গেলে ছুটিও দিতে হবে। এই তত্ত্বে বিশ্বাসী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই তত্ত্ব মেনেই আগামী বছর ছুটির লম্বা তালিকা প্রকাশ করা হল সরকারের পক্ষ থেকে।
কর্মীদের কাছ থেকে কাজ পেতে গেলে ছুটিও দিতে হবে। এই তত্ত্বে বিশ্বাসী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। সেই তত্ত্ব মেনেই আগামী বছর ছুটির লম্বা তালিকা প্রকাশ করা হল সরকারের পক্ষ থেকে। এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় এবার ছুটির তালিকায় রয়েছে রকমারি চমক। এই ছুটির বহর দেখে সরকারি কর্মীরা খুশি হবেনই!
টানা চারদিন ছুটির বহর
সরকারের প্রকাশিত এই ছুটির তালিকায় সবথেকে বড় চমক ছটপুজো থেকে শুরু করে সরস্বতী পুজো ও দোলে টানা চারদিন করে ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। ২০২০-র এই সরকারি ক্যালেন্ডারে ছুটির তালিকা দেখে আগেভাগে প্ল্যানিংয়ে করে ফেলতে পারেন কাছে-পিঠে কোনও ভ্রমণের।
সরস্বতী পুজোর ছুটি
রাজ্য সরকারের এই ক্যালেন্ডারে জানুয়ারিতেই লম্বা ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে পারবেন কোনও ছুটির আবেদন ছাড়াই। তার কারণ সরস্বতী পুজো পড়েছে এবার বৃহস্পতিবার, পরের দিন ৩১ জানুয়ারিও বাড়তি ছুটি দিয়েছে সরকার, তারপরই শনি ও রবিবার। ফলে চারদিন টানা ছুটি আপনি কাটিয়েই আসতে পারেন অন্য কোথাও, অন্য কোনওখানে।
দোলের ছুটিতেও চমক
এরপর দোল হচ্ছে ৯ মার্চ। ওই দিন সোমবার। পরেরদিন মঙ্গলবার হোলি। অর্থাৎ ওইদিনও ছুটি। আর তার আগে রয়েছে শনি ও রবিবার। ফলে শনিবার থেকে মঙ্গলবার আপনি টানা ছুটি পেয়ে যাচ্ছেন। রাজ্য সরকারের সৌজন্যে একটা বাড়তি ছুটিতে টানা চারদিন ছুটির মেজাজ পাচ্ছেন আপনি।
বুদ্ধপূর্ণিমা আর রবীন্দ্রজয়ন্তীর ছুটি
এখানেই শেষ নয় ছুটির আনন্দ। মে মাসে পয়লা হল শুক্রবার। এখানেও টানা তিনদিন ছুটি। তারপর ৭ মে বুদ্ধপূর্ণিমা, ৮ মে রবীন্দ্রজয়ন্তী। এই দুটি দিনও বৃহস্পতিবার আর শুক্রবার পড়েছে। তারপর আবার শনি-রবি ছুটি। মে মাসেও টানা চারদিন টানা ছুটি পাচ্ছেন।
ইদের ছুটি
মে মাসে আবার আরও একটি টানা চারদিনের ছুটি পাবেন সরকারি কর্মীরা। ২৫ মে সোমবার ইদ। তার পরদিনও ছুটি। অর্থাৎ মঙ্গলবার ছুটি দিয়েছে সরকার। তার আগে শনি ও রবিবার ছুটি পাচ্ছেন। ফলে এক্ষেত্রেও টানা চারদিন ছুটি হয়ে যাচ্ছে।
গান্ধী জয়ন্তীর ছুটি
এরপর অক্টোবর মাসে ছুটি আর ছুটি। ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তী দিয়ে শুরু। শুক্রবার গান্ধী জয়ন্তী। তারপর শনি ও রবি মিলিয়ে টানা তিনদিন ছুটি পাবেন। তারপরই ১৯ অক্টোবর সোমবার থেকে পুজোর ছুটি শুরু।
পুজোর ছুটি
এবার তৃতীয়া থেকেই পুজোর ছুটি দেওয়া হয়েছে। আর তার আগে শনি ও রবিবার ছুটি। অর্থাৎ মহালয়া শেষে দেবীপক্ষের প্রথম দিন থেকেই থেকেই একপ্রকার ছুটি পাবেন এবার সরকারি কর্মীরা। এই ছুটি চলবে টানা ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। সেদিন শুক্রবার। অর্থাৎ তারপর দুদিনও শনি ও রবিবারও ছুটি।
কালীপুজো-ভ্রাতৃদ্বিতীয়া
কালীপুজো ১৪ নভেম্বর। ওইদিন শনিবার। পরদিন রবিবার এমনিতেই ছুটি। তারপর ভাইফঁটার দুদিন ছুটি ১৬ ও ১৭ নভেম্বর। এক্ষেত্রেও টানা চারদিন ছুটি মিলবে। তারপর আছে ছট পুজো।
ছটপুজোর ছুটি
সামনের বছর টানা চারদিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। ছট পুজো ১৯ ও ২০ নভেম্বর। ওই দু-দিন হল বৃহস্পতি ও শুক্রবার। তারপর শনিবার ও রবিবার আরও দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি। অর্থাৎ এক্ষেত্রেও টানা চারদিন ছুটি মিলছে।
বড়দিনের ছুটি এবং আরও
আর বছরের শেষে বড়দিন ২৫ ডিসেম্বর। সেই ছুটিতেও চমক। ২৫ ডিসেম্বের শুক্রবার। অর্থাৎ পরের দুদিন শনিবার ও রবিবার। এ্ক্ষেত্রেও টানা তিনদিনের ছুটি পাবেন সরকারি কর্মীরা।এছাড়া শিবরাত্রি ও দার্জিলিংয়ে কবি ভানু ভক্তের জন্মদিন উপলক্ষেও ছুটি টানা তিনদিন মিলবে। এক্ষেত্রে শিবরাত্রি শুক্রবার পড়েছে। আর ভানু ভক্তের জন্মদিন পড়েছে সোমবার। ফলে শনি ও রবিবারের ছুটি এর সঙ্গেই টানা মিলে যাচ্ছে।