দুর্যোগে মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেবে মমতার সরকার, সারিয়ে দেওয়া হবে বাড়িও
একই রাতে জোড়া কালবৈশাখী ১৪ট প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এবার সেই ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিল রাজ্য সরকার।
একই রাতে জোড়া কালবৈশাখী ১৪ট প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এবার সেই ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিল রাজ্য সরকার। কোড অফ কন্ডাক্ট থাকায় তা সরকারিভাবে ঘোষণা করা হচ্ছে না। কিন্তু নবান্নের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃতদের পরিবারের পাশে থাকবে রাজ্যের তৃণমূল সরকার।
[আরও পড়ুন: মহাভারতের যুগেও ইন্টারনেট ছিল! খোদ মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় দেশজুড়ে ]
এদিন নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের পরিবারকে দু-লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে যে সমস্ত ঘরবাড়ি ভেঙেছে ঝড়ের প্রকোপে, সেইসব বাড়ি মেরামত করে দেবে সরকার। জোড়া কালবৈশাখীর তাণ্ডবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। এদিনই প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করে নবান্ন। তা খতিয়ে দেখেই সাহায্যোর আশ্বাস দেওয়া হয়।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর প্রথমের ঝড়টির বেগ ছিল ঘন্টায় প্রায় ৮৪ কিমি। আর পরেরটি প্রায় ৯৮ কিমি। শহররে বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে পড়ে বহু গাছ। ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের বাতিস্তম্ভ। গাছ চাপা পড়ে যায় বহু গাড়ি। রাতেই রাস্তা থেকে গাছ সরানোর কাজ শুরু করেন পুরসভার কর্মীরা। গাছ পড়ে, বাড়ি ভেঙে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিন ৭.৪২ মিনিট নাগাদ ঝড় বয়ে যায় প্রথমবার। তার ১০ মিনিট পরই ফের আরও শক্তিশালী হয়ে ঝড় ফিরে আসে। দ্বিতীয়বারের ঝড় স্থায়ী হয় দীর্ঘক্ষণ ধরে। শহরজুড়ে তাণ্ডব লীলা চালায়। তারপর ঝড়ের সঙ্গেই শুরু হয় বৃষ্টির দাপট।
[আরও পড়ুন:ভোটের টানে সারা বেলার গানে, 'দত্তক' গ্রামে ভুঁয়ে বসে আড্ডায় মাতলেন বাবুল সুপ্রিয়]