করোনার ওমিক্রন-হানায় বাতিল দুয়ারে সরকার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচিও স্থগিত
করোনার বড়বাড়ন্ত শুরু হওয়ায় বাতিল করে দেওয়া দুয়ারে সরকার। বাতিল হয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচিও।
করোনার বড়বাড়ন্ত শুরু হওয়ায় বাতিল করে দেওয়া দুয়ারে সরকার। বাতিল হয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক কর্মসূচিও। নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৩ জানুয়ারি থেকে আরও কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করার রাস্তায় হাঁটতে পারে সরকার।
৩ জানুয়ারি রবিবার থেকে দুয়ারে সরকার শুরু হওয়ার কথা ছিল। করোনার ওমিক্রন হানার কারণে তা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। পরিস্থিতি যেদিকে মোড় নিচ্ছে, তাতে রাজ্যে আংশিক লকডাউনের সম্ভাবনা তীব্র হচ্ছে। শুধু দুয়ারে সরকারই নয়, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছাত্রদের আলাপচারিচার অনুষ্ঠানও স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব সংক্রান্ত সাংবাদিক বৈঠকও।
মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠান কবে হবে, সে বিষয়ে অবশ্য কোনও সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। এর ফলে বিশেষজ্ঞমহল মনে করছে, রাজ্য এবার কড়া বিধি-নিষেধের দিকে যেতে পারে। আংশিক লকডাউনের রাস্তা নিতে পারে রাজ্য। তারই প্রাথমিক পদক্ষেপ হল দুয়ারে সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি রদ করা।
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ৩ জানুয়ারি থেকে কড়া বিধি-নিষেধ আরোপ করা হতে পারে। সেই কারণে এদিন জেলায় জেলায় দুয়ারে সরকার বাতিল করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানও। এবার ৩ জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্য এই করোনা-পরিস্থিতিতে কোন পথে হাঁটবে।
এর আগে গঙ্গাসাগর সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রয়োজন কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আভাস দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন স্কুল-কলেজ বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি কি না খতিয়ে দেখতে। শিক্ষাসচিবকে সেই নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য বিধি আরোপ করার ব্যাপারেও রাজ্যের মুখ্যসচিব অন্যান্য দফতরের সচিবকে পর্যালোচনা করতে বলেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়া নিয়ে। সেজন্য কলকাতায় কনটেনমেন্ট পয়েন্ট করার নির্দেশ দেন। আরও করোনা বিধি আরোপ করার জন্য প্রয়োজনীয় পর্যালোচনা করতে নির্দেশ দেন প্রশাসনকে। প্রয়োজনে ট্রেনের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ার বার্তাও দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে সরকারি দফতরে হাজিরার সংখ্যাো ৫০ শতাংশ করে দেওয়ার কথা বলেন তিনি। করোনা বাড়লে ৫০ শতাংশ ওয়ার্ক ফর্ম হোম করে দেওয়ার বার্তাও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
বর্তমানে করোনা প্রবল আকারে বাড়তে শুরু করেছে কলকাতায়। কলকাতায় চারদিনে পাঁচগুন করোনা বেড়েছে। এরপরই করোনা বিধি আরোপ করা নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে। দুয়ারে সরকার স্থগিত করা হয়ছে, মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। এরপর গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়, তার দিকে তাকিয়ে পুণ্যার্থীরা।