নির্বাচনী ইস্তেহার মতোই কাজ শুরু, রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের জন্য বড় সিদ্ধান্তের অনুমোদন মমতার মন্ত্রিসভায়
নির্বাচনী ইস্তেহার (election manifesto) মতোই কাজ শুরু করে দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) নেতৃত্বাধীন তৃতীয় মন্ত্রিসভা। এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের (student cre
নির্বাচনী ইস্তেহার (election manifesto) মতোই কাজ শুরু করে দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) নেতৃত্বাধীন তৃতীয় মন্ত্রিসভা। এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের (student credit card) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে ৩০ জুন থেকে।
৩০ জুন থেকে ছাত্রছাত্রীদের ক্রেডিট কার্ড
এদিন নবান্নে করা সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প শুরু হবে ৩০ জুন থেকে। এদিন রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়টি অনুমোদিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর সুবিধা পেতে গেলে ছাত্রছাত্রীদের অন্তত ১০ বছর এরাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
কারা পাবেন সুবিধা, কত বছর পর্যন্ত সুবিধা
মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রীরা দশম শ্রেণি থেকেই এই সুবিধা পাবেন। গবেষণার স্তরে পড়াশোনার ক্ষেত্রে এই সুবিধা পাওয়া যাবে। শুধু রাজ্যে কিংবা দেশেই নয়, বিদেশে পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রেও এই ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা পাওয়া যাবে। ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত এই সুবিধা পাওয়া যাবে। ছাত্রছাত্রীরা যে টাকা ধার হিসেবে ব্যাঙ্ক থেকে নেবেন, তা ফিরিয়ে দিতে হবে ১৫ বছরের মধ্যে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। মাধ্যমিকের প্রায় ১২ লক্ষ এবং উচ্চমাধ্যমিকের ১০ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে এই কার্ডের আওতায় এনে প্রকল্পের কাজ শুরু করা হচ্ছে।
৪ শতাংশ সুদে জামিনদার সরকার
মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, ৪ শতাংশ সুদে ছাত্রছাত্রীরা ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে। সরকারই এই টাকার জামিনদার হবে। কোনও ব্যাঙ্কে তাই টাকা পেতে অসুবিধা হবে না। ছাত্রছাত্রীরা যাবে সাবলম্বী হতে পারে সেই কারণেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তৃণমূলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি
১৭ মার্চ বুধবার কালীঘাটের বাড়ি থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছিলেন। সেই ইস্তেহারে যামন স্টুটেন্ট ক্রেডিট কার্ডের কথা বলেছিলেন, ঠিত তেমনই বছরে ৫ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। তৃণমূলের প্রতিশ্রুতিতে ছিল সব বিধবার জন্য ১০০০ টাকা করে ভাতার কথা। বলা হয়েছিল ১৮ বছর বয়সে যদি কারও স্বামী মারা যান তাহলে প্রতিমাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি বছরে দুবার করে দুয়ারের সরকার কর্মসূচি পালন করা হবে। অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলির জন্য মাসে ৫০০ টাকা করে এবং তপশিলি পরিবারগুলির জন্য ১ হাজার টাকা করে দেওয়া প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল।
কাশ্মীর ইস্যুতে মোদীর সর্বদলীয় বৈঠকের প্রসঙ্গ উঠতেই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মমতা