মমতার বাংলা কৃষক-আয় বৃদ্ধিতে দেশের সেরা, বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে কেন্দ্র দিল স্বীকৃতি
মমতার বাংলা কৃষক-আয় বৃদ্ধিতে দেশের সেরা, বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে কেন্দ্র দিল স্বীকৃতি
ভারতে কৃষকের আয় বৃদ্ধিতে দেশ সেরা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা। এবার আর অন্য কোনও সংস্থা নয়, সরাসরি কেন্দ্রই দিল এই স্বীকৃতি। আর কেন্দ্রের দেওয়া এই স্বীকৃতিতে অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য বিজেপি। কেননা কৃষক আয় থেক শুরু করে নানা বিষয়ে রাজ্যের সমালোচনা করলেও বারবার কেন্দ্রের পরিসংখ্যানে বাংলাই সেরার সেরা তকমা পেয়ে আসছে।
আয় বৃদ্ধিতে সবার উপরে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা
শনিবার কেন্দ্রীয়মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর কর্তৃক নয়াদিল্লিতে আইসিএআর-এর ৯৪তম প্রতিষ্ঠা দিবস ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের সময় প্রকাশিত 'ডাবলিং ফার্মার্স ইনকাম' শীর্ষক প্রকাশনা অনুসারে দেশের সমস্ত রাজ্যের মধ্যে আয় বৃদ্ধিতে সবার উপরে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা। কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রকের টুইটার হ্যান্ডেলেও পোস্ট করা হয়েছে তা।
বাংলার প্রকল্পের কারণেই কৃষকরা আয়ের শীর্ষে
কেন্দ্রের কৃষি মন্ত্রকের টুইটার হ্যান্ডেলে বাংলার এই জয়জয়কারের বার্তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল এই সাফল্যের বার্তায় উৎফুল্ল। আর অন্যদিকে বিজেপি অস্বস্তিতে। কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এই সাফল্য প্রসঙ্গে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর্তৃক কৃষকদের জন্য প্রবর্তিত বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কারণেই বাংলার কৃষকরা আয়ের শীর্ষে।
কৃষকদের জন্য বিধিবদ্ধ ব্যবস্থা, সরাসরি অ্যাকাউন্টে টাকা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুষ্ঠু পরিকল্পনার কারণেই বাংলার কৃষকরা ঋণে জর্জরিত হয়ে আত্মহত্যা করেননি। তাঁদের হাতে পৌঁছেছে সুনির্দিষ্ট আয়। তৃণমূল সরকার গত বছর কৃষকবন্ধু নতুন প্রকল্প শুরু করেছিল। কৃষকরা এখন এক একর ও তার বেশি চাষযোগ্য জমির জন্য ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বর্ধিত আর্থিক সহায়তা পান।
কৃষকবন্ধুর সুবিধা ভাগচাষিদের সবাইকেও
যাঁদের এক একরের কম তাঁরা দুই ধাপে বার্ষিক ন্যূনতম চার হাজার টাকা পান। বাংলাই একমাত্র রা্জ্য যেখানে কৃষকবন্ধুর সুবিধা ভাগচাষিদের সবাইকে দেওয়া সম্ভবপর হয়েছে। ২০২১-এর খরিফের সময় প্রায় ৭৪ লক্ষ কৃষক এই সুবিধা পেয়েছেন। ২০১৯ সালে এই সুবিধা পেতেন মাত্র ৫ লক্ষ কৃষক। তারপর ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি কৃষকের মৃত্যু হলে শোকাহত পরিবার ২ লক্ষ টাকা করে সহায়তা পান। এই সকল টাকা সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পড়ে যায়।
ভর্তুকি দেওয়া হয় আধুনিক সরঞ্জাম কিনতে
তারপর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চাষাবাদে ক্ষয়ক্ষতি হলেও রাজ্যের তরফে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। রাজ্যের কৃষি বিভাগ কৃষকদের সুবিধার্থে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। রাজ্যে মোট ২০৬০টি কাস্টম হায়ারিং সেন্টার রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা থাকলে জমি থেকে দ্রুত ধান ও অন্যান্য ফসল তোলার জন্য ভারী মেশিন প্রদান করা হয় ওই সেন্টার থেকে। আধুনিক কৃষি সরঞ্জাম কিনতে ১০ হাজার টাকা থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি প্রদান করা হয়।
বাংলার পরবর্তী রাজ্যপাল কে? অধিকারী থেকে শুরু করে যে সব নাম জল্পনায়