মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্প ফের ভারত-সেরা, মোদী সরকারে রিপোর্ট মুখ পুড়ল বিজেপির
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্প ফের ভারত-সেরা, মোদী সরকারে রিপোর্ট মুখ পুড়ল বিজেপির
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্পে আবারও দেশ সেরা হল মোদী সরকারের রিপোর্টে। ফের মুখ পুড়ল বঙ্গ বিজেপির। বঙ্গ বিজেপি যখন লাগাতার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরতে ব্যস্ত, তখন একের পর এক প্রকল্পে দেশের মধ্যে সেরার স্থান দখল করে নিচ্ছে বাংলা। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাংলার তৃণমূল সরকারের অবস্থান প্রথম তিনে রয়েছে।
কেন্দ্রের মোদী সরকারের রিপোর্টে দেশ-সেরা বাংলা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মুকুটে ফের একটি সাফল্যের পালক জুড়েছে। আবার সেই শিরোপা বাংলা পেয়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকারের রিপোর্টে। তার জেরেই বঙ্গ বিজেপি পড়েছে বিপাকে। কেন্দ্রের রিপোর্ট তাঁদের দাবিকে ফের একবার কুৎসা ও অপপ্রচারে নামিয়ে এনেছে। মিথ্যা প্রমাণিত করে ছেড়েছে বাংলার বিজেপি নেতাদের দাবিকে।
মোদী সরকারের জলশক্তি মন্ত্রকের তথ্যে প্রথম বাংলা
রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় প্রতি বাড়িতে বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেন জলস্বপ্ন প্রকল্প। সেই জলস্বপ্ন প্রকল্পই দেশ-সেরার তকমা দিয়েছে বাংলাকে। জলস্বপ্ন প্রকল্প রূপায়িত করে দেশরে মধ্যে প্রথম স্থান দখল করেছ বাংলা সম্প্রতি কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের জলশক্তি মন্ত্রক দেশের গ্রামীণ এই তথ্য তুলে ধরেছে।
কেন্দ্রের পরিসংখ্যান বঙ্গ বিজেপির গলার কাঁটা
গোটা দেশজুড়েই প্রত্যেক রাজ্য সরকার গ্রামীণ এলাকায় পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার কাজ করছে। কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সবথেকে বেশি পরিস্রুকত পানীয় জলের সংযোগ দিয়েছে বাংলায় ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কেন্দ্রের দেওয়া এই পরিসংখ্যান বঙ্গ বিজেপির গলার কাঁটা হয়ে দেখা দিয়েছে। বিজেপি নেতৃত্বের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে এই পরিসংখ্যান।
বিজেপি মিথ্যার বেসাতি ছাড়বে না, পাল্টা তৃণমূল
এই রিপোর্টের পর প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, বিজেপি বাংলায় উন্নয়ন হচ্ছে না বলে যে জিগির তুলেছে তা কতবড় মিথ্যা। তৃণমূল সরকারের এই স্বীকৃতির পর শাসকদলের তরফে দাবি, করা হয়েছে এরপরেও বিজেপি মিথ্যাচার করে যাবে। আসলে বিজেপির স্বভাবই হল কুৎসা আর অপপ্রচার করা। বিজেপি মিথ্যার বেসাতি ছাড়তে পারবে না।
পরিসংখ্যানে বাংলা সেরা, বাকিরা কোথায় দাঁড়িয়ে
কেন্দ্রের জলশক্তি মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী জল পরীক্ষার সবথেকে বেশি ল্যাবরেটরি এনএবিএল রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায়। বাংলায় রয়েছে মোট ২২১টি পরীক্ষাগার। তার মধ্যে ১১১টি এনবিএলের ল্যাবরেটরি। পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের ক্ষেত্রে স্বভাবতই তারা এগিয়ে থাকবে বলাই বাহুল্য। এরপর রয়েছে মধ্যপ্রদেশ। এখানে এনএবিলের সংখ্যা ১০৩টি। বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলির থেকে বাংলা কয়েক কদম এগিয়ে রয়েছে। মোদী বা যোগী রাজ্য রয়েছে অনেক পিছনে। উত্তরপ্রদেশে মাত্র ২৫টি আর গুজরাটে ৭১টি।
চিঠি, পাল্টা চিঠি এবং বাংলায় তৃণমূল বনাম বিজেপি
সম্প্রতি ১০০ দিনের কাজের মজুরি প্রদান ও গ্রামীণ আবাস যোজনা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ এনেছেন। তিনি এই মর্মে চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এরপর মমতার সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাল্টা লেখেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপর কেন্দ্রীয় জলশক্তি প্রকল্পের এই রিপোর্টে বঙ্গ বিজেপির মুখ পুড়েছে। উল্লেখ্য, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৪ লক্ষ ৩ হাজার ৯৯৬টি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দিয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর।
অমিতের ভোকাল টনিকেও কাজ হল না, বঙ্গ বিজেপি তিমিরেই! কোন্দলে জট আন্দোলনে