দক্ষিণ দিনাজপুরে বন্যা পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী, জলে নেমে দ্রুত পুনর্বাসনের আশ্বাস
সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জলে নেমে কথা বললেন বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে, জল নামলেই দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মমতা
সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুনিয়াদপুরের আগেই জলে নেমে কথা বললেন বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে। এরপর দক্ষিণ দিনাজপুরে প্রশাসনিক বৈঠকও করেন তিনি। জল নামলেই দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার রাতেই মুর্শিদাবাদ থেকে মালদহ পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার প্রথমে গাজোলের দিকে রওনা হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ময়না পর্যন্ত যেতে পারলেন তিনি। গাজোলের ত্রাণ শিবির ঘুরে দেখার পাশাপাশি সেখানে বন্যা দুর্গতদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। এরপর দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরের দিতে যান কনভয়। কিন্তু সেখানেই মেহেন্দিপাড়া পর্যন্ত যায় তাঁর কনভয়। ৩৪ নং জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে জল বয়ে যাওয়ায় রাস্তায় নেমে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। এদিন বন্যা দুর্গতদের আশ্বাস দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার তাঁদের পাশে রয়েছে। তাঁরা ত্রাণ পাচ্ছেন কিনা তাও জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী জল নামলেই সরকার তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপরই দক্ষিণ দিনাজপুরে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্য়মন্ত্রী। বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, বন্যা নিয়ে জেলা প্রশাসনের রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। মূলত, বিহারের পূর্ণিয়ায় নদী বাঁধ ভেঙে গিয়েই উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়েছে। বন্যার জল নামলেই যাতে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়, সেই নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করতে নবান্ন থেকে একচি বিশেষ দলও গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিভিন্ন নদীগুলিতে ড্রেজিং না হওয়ার জন্য কেন্দ্রকেও দুষেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পলি পড়ে নদীগুলির জলধারণ ক্ষমতা কমে গিয়েই প্রতি বছর বিপত্তি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মমতা। বন্যায় অন্যান্য রাজ্যের মতই বাংলাও যাতে কেন্দ্রীয় সাহায্য পায়, এদিন সেই দাবিও তুলেছেন মমতা।