২০১৬-র স্লোগান ২০২১-এ ফিরিয়ে আনছেন মমতা, তৃণমূলের টার্গেট যখন মিশন বাংলা
২০১৬-য় যে স্লোগানে তিনি মাত করেছিলেন বাংলা, ২০২১-এও ফের সেই স্লোগান ফিরিয়ে আনছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৯৪টি বিধানসভা আসনেই নিজেকে একমাত্র প্রার্থী হিসাবে তুলে ধরতে চাইছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়ার জনসভা থেকে তিনি তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন বাংলার জনতার উদ্দেশ্যে।

মমতাই সব আসনে প্রার্থী, ভোটারদের কাছে আবেদন
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৌশল অবলম্বন করেছিলেন বামফ্রন্ট-কংগ্রেস জোটের পক্ষে একটি চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায়। তৃণমূল সুপ্রিমো ভোটারদের কাছে আবেদন করেন, তিনিই সব আসনে প্রার্থী। গত সপ্তাহে বাঁকুড়ার একটি সমাবেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তিনিই সমস্ত কেন্রে র দলের পর্যবেক্ষক।

পুরনো স্লোগানে রাজ্যে কামব্যাকের চেষ্টা তৃণমূলের
২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত আসনে প্রার্থী হিসাবে নিজেকে চিহ্নিত করে যথার্থ লাভ কুড়িয়েছিলেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল হতাশাজনক ফল করে বাংলায়। ৩৪ থেকে কমে ২২ জন সাংসদ হয়ে যায় তৃণমূলের। বিজেপির উত্থান ঘটে বাংলায়। ২ থেকে বেড়ে ১৮ হয় বিজেপি। তাই ফের পুরনো স্লোগান অবলম্বন করে রা্জ্যে কামব্যাকের চেষ্টা করছে তৃণমূল।

শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুকে সভা মমতার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৭ ডিসেম্বর মেদিনীপুরে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখবেন। ওইদিন পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে সকল নেতা-কর্মীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের পর তাঁর খাসতালুকে সভা করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে এই সমাবেশে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে কারা যোগ দেন, তা রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।

১৬টির মধ্যে ১৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে শক্তিশালী ভিত শুভেন্দুর
শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, পূর্ব মেদিনীপুরের ১৬টির মধ্যে ১৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে তাঁর শক্তিশালী ভিত রয়েছে। তার পরে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর খাসতালুককে বেছে নিয়েছেন দলের শক্তি নির্ধারণের জন্য। উল্লেখ্য, শুভেন্দু একা নন, শিশির অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারী, এমনকী সৌমেন্দু অধিকারীরও বেস রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে।

অধিকারীরা পৃথক পথ বেছে নিতে শুরু করেছেন
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সমাবেশে, শিশির বা দিব্যেন্দু উপস্থিত থাকেন কি না, তা দেখার জন্য উৎসাহী রাজনৈতিক মহল। তাঁরা যদি বৈঠকে উপস্থিত না হন, তবে এটি একটি স্পষ্ট বার্তা দেবে যে অধিকারীরা পৃথক পথ বেছে নিতে শুরু করেছেন। তৃণমূল সুপ্রিমো জনসভা থেকে স্পষ্ট বার্তা দেবেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।