মমতার মন্ত্রিসভা রদবদলে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি! অভিষেকের দেখানো পথেই তৃণমূল
মমতার মন্ত্রিসভা রদবদলে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি! অভিষেকের দেখানো পথেই তৃণমূল
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই দলের সাংগঠনিক পদে রদবদল করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি তাঁর মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে চলেছেন বুধবারই। এই রদবদলে স্পষ্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্ষরিক অর্থেই এক ব্যক্তি এক পদ নীতি আরোপ করতে চলেছেন।
যাঁরা দলের কাজ করবেন তাঁরা সরকারে নয়!
দলীয় সংগঠনে সাম্প্রতিক রদবদল ও মন্ত্রিসভায় সম্ভাব্য রদবদলে যাঁদের নাম নিয়ে জল্পনা চলছে তাতে স্পষ্ট মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন, যাঁরা দলের কাজ করবেন তাঁরা সরকারে থাকবেন না। যাঁরা সরকারে থাকবেন তাঁরা দলের নেতৃত্বে বা সংগঠনের কাজে থাকবেন না। সেই নীতিই এবার আরোপ করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং।
এক ব্যক্তি এক পদ নীতি প্রণয়নের চেষ্টা তৃণমূলে
একুশের নির্বাচনে জয়ের পর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই নীতি প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এমনকী কলকাতা-সহ পুরসভা ভোটের প্রার্থীপদেও তিনি এই নীতির আরোপ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। এবার ফের সেই নীতি প্রণয়নের চেষ্টা শুরু হয়েছে তৃণমূলে। এবার মমতা স্বয়ং এই নীতি আরোপ করতে চাইছেন।
মমতার ঘোষণায় নয়া নীতি প্রণয়নের উদ্যোগ
সোমবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা জানিয়ে দেন বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে চলেছেন তিনি। প্রথমমত ফাঁকা জায়গাগুলি তিনি পূরণ করবেন। সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও সাদ পাণ্ডের প্রয়াণ ও পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে যাওয়ায় তিনটি পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে। এছাড়া তিনি চার-পাঁচ জনকে বাদ দিতে চান মন্ত্রিসভা থেকে। নিজেই ঘোষণা করেছেন তিনি চার-পাঁচজনকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দলের কাজে লাগাতে চান।
মন্ত্রী পদ থেকে অপসারণের পর দলের কাজে
মুখ্যমন্ত্রী একইসঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন, পাঁচ-ছ'জন নতুন মুখ আসতে পারে তাঁর মন্ত্রিসভায়। চার-পাঁচজনের অপসারণ ও পাঁচ-ছ'জনের প্রবেশের পরই দফতর বণ্টন করা হবে। আবার যেসব মন্ত্রীদের অপসারণ করা হবে, তাঁদের দলের কোন কাজে লাগানো হবে, তাও জানানো হবে রদবদলের পরই।
মমতার উদ্যোগে এক ব্যাক্তি এক পদ’নীতি
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগের পরই স্পষ্ট ফের 'এক ব্যাক্তি এক পদ'নীতি আরোপ হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে পন্থা নিয়েছিলেন এবার সেই পন্থা নিজে হাতে প্রণয়ন করতে চলেছেন মমতা বন্যোাধপাধ্যায়। তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণও রাজ্য রাজনীতির বর্তমান প্রেক্ষাপটে।
কামরাজ-মডেলের আংশিক প্রয়োগ ঘটবে
আর শুধু এক ব্যক্তি এক পদ নীতিই নয়, একইসঙ্গে কামরাজ-মডেলের আংশিক প্রয়োগ ঘটাতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কামরাজ মডেল প্রয়োগ হয়েছিল ৫৯ বছর আগে ১৯৬৩ সালে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও সরিয়ে সংগঠনের কাজে লাগিয়েছিলেন জওহরলাল নেহরু। মাদ্রাজের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী কামরাজের দেওয়া প্রস্তাব মতো লালাবাহাদুর শাস্ত্রী-সহ ৬ কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ও ৬ রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীদের সরিয়ে নেহরু তাঁদের সংগঠনের কাজে নিয়োগ করেছিলেন। মমতাও তাঁর মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে দলের কাজে ব্যবহার করতে চলেছেন। মন্ত্রিসভায় আনতে চলেছেন নয়া মুখ।
মন্ত্রিসভা থেকে বাদ ৪-৫ জন, নতুন মুখ ৫-৬ জন, কারা তাঁরা! জল্পনা বাড়ালেন মমতা