লোকসভার আগে নেতৃত্ব বদল, সংগ্রামের আতুঁড়ঘড়ে নব্যকে সরিয়ে আদিতে আস্থা মমতার
ভোট এগিয়ে আসছে লোকসভার। মহাযুদ্ধে বলে কথা। তার আগে কি না কোন্দল লেগেই আছে। তাই আগেভাগে ব্যবস্থা নিয়েই নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভোট এগিয়ে আসছে লোকসভার। মহাযুদ্ধে বলে কথা। তার আগে কি না কোন্দল লেগেই আছে। তাই আগেভাগে ব্যবস্থা নিয়েই নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে ব্লক সভাপতির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল বেচারাম মান্নাকে। তাঁর বদলে ফের সামনে নিয়ে আসা হল মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে।
বলা ভালো, আদিতে আস্থা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রীকে সরিয়ে বিধায়কের কাঁধে দায়িত্ব অর্পণ করার সিদ্ধান্ত নিল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। পাঠানো হল নিয়োগ পত্রও। যদিও মাস্টারমশাই পাশ কাটিয়ে গেলেন। ভগ্ন শরীরের দোহাই দিয়ে তিনি সরিয়ে রাখলেন নিজেকে। তাঁর বদলে তিনি সুপারিশ করলেন ঘনিষ্ঠ নেতা মহাদেব দাসের নাম।
অর্থাৎ এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন তিনি। একদিকে বেচারাম মান্নার ছেড়ে যাওয়া পদে তিনি নিজে বসলেন না, তাঁর কাছের নেতাকে বসানোর সুপারিশ করলেন। আবার জমি আন্দোলনের এক মুখকেই তিনি সামনে আনতে চাইলেন। দলকে বার্তা দেওয়া গেল। আবার বেচারাম মান্নার সঙ্গে সরাসরি সংঘাতও এড়িয়ে গেলেন। মহাদেব দাসের নিয়োগ এখন অবশ্য পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাসের হাতে।
[আরও পড়ুন: বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের হিড়িকে মদত 'সভাপতি'র! বৈঠকের মাঝেই হাতাহাতি]
জেলা পরিষদ গঠনের দিনই এক আলোচনায় বসে পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস ও জেলা নেতৃত্বের পক্ষে তপন দাশগুপ্ত, অসীমা পাত্র, প্রবীর ঘোষালরা বেচারাম মান্নাকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর জায়গায় ফের মাস্টারমশাইকে ব্লক সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হন। সেইমতো নিয়োগপত্র পাঠানো হয়।
[আরও পড়ুন: রাজ্যের মধ্যে তিনিই সেরা সাংসদ, নবীনের দল হেলায় হারছে প্রবীণের উদ্যমের কাছে]
রবীন্দ্রনাথবাবু সেই নিয়োগপত্র গ্রহণ না করে অন্য নাম সুপারিশ করে চিঠি লেখায়, তা নিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। অরূপ বিশ্বাস জানান, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্তকে তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন:মমতার কাজের প্রশংসায় রাজনাথ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধন্যবাদ জ্ঞাপনে বিপাকে রাজ্য বিজেপি]