মুকুলের পরিবর্ত এসে গিয়েছে তৃণমূলে! মমতার ২০২০ নির্বাচন-পরিকল্পনায় নয়া কাণ্ডারি
লোকসভায় বিজেপির কাছে পিছিয়ে পড়ার পর তৃণমূল কামব্যাক করেছে প্রশান্ত-কৌশলে। তৃণমূল সেই প্রশান্ত কিশোরের উপরই ভরসা রাখছে ২০২০-র মিনি বিধানসভা নির্বাচন জিততে।
লোকসভায় বিজেপির কাছে পিছিয়ে পড়ার পর তৃণমূল কামব্যাক করেছে প্রশান্ত-কৌশলে। তৃণমূল সেই প্রশান্ত কিশোরের উপরই ভরসা রাখছে ২০২০-র মিনি বিধানসভা নির্বাচন জিততে। উপনির্বাচনে প্রশান্ত কিশোরের স্ট্র্যাটেজি সফল হয়েছে। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন। এই অবস্থায় ২০২০ নির্বাচনের সমস্ত দায়িত্বই বর্তেছে প্রশান্ত কিশোরের উপর।
মুকুলের পরিবর্ত হয়ে ওঠা
মুকুল রায় বিজেপিতে য়োগ দেওয়ার পর মমতার দলে তাঁর অভাব পূরণ করার মতো কেউ ছিল না। মুকুলের ফেলে যাওয়া কাজই প্রশান্ত কিশোর করে চলেছেন দক্ষতার সঙ্গে। আসন্ন পুরসভা ভোটে সাফল্য পেতে তাই প্রশান্ত কিশোরের উপর আস্থা রাখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্বাস, তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে যে পথে জয় এসেছে, পুরসভার জয় আসবে সেই পথে।
পিকে-ই ঠিক করবেন পুরসভা ভোটে প্রার্থী
পিকে-ই ঠিক করবেন পুরসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হবেন কারা। অঙ্ক কষে পিকে তৃণমূলের টিকিট বিতরণ করবে। সে জন্য কাজ করছে পিকে-বাহিনী। বিজ্ঞানসম্মত উপায়েই তিনি প্রার্থী নির্বাচন করবেন। তাঁর পরামর্শ মতোই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিলমোহর দেবেন তাতে। বুথভিত্তিক রণকৌশলও স্থির করবেন প্রশান্ত।
পিকের পরামর্শ মেনে চূড়ান্ত প্রার্থী মমতার দলে
ইতিমধ্যে প্রশা্ন্ত স্থির করে দিয়েছেন, প্রার্থী হতে গেলে কী কী যোগত্যা লাগবে। যোগত্যমান মেপেই তিনি পুরসভায় প্রার্থী করার ব্যাপারে তাঁর টিমকে বলে দিয়েছেন। সেইমতো পুরসভার ওয়ার্ড বা ব্লকে ব্লকে ঘুরছে পিকের টিম। তাঁরা কথা বলছেন মানুষের সঙ্গে, এলাকার জনপ্রিয়তা যাচাই করেই এই টিম প্রার্থীর বেছে দেবেন। তা থেকে মমতা স্থির করবেন চূড়ান্ত প্রার্থী।
তৃণমূলের প্রার্থী হতে যোগ্যতামান
যোগ্য, নিষ্ঠাবান ও সৎ প্রার্থীর খোঁজ তো চলছেই, সেইসঙ্গে পিকের টিম জানার চেষ্টা চালাচ্ছে কোন কাউন্সিলর কেমন কাজ করছে, সেই কাউন্সিলরকে ফের জনগণ চাইছে কি না। সব তথ্যই যাচাই করা হচ্ছে। তার ভিত্তিতেই নিরূপণ হচ্ছে শাসক দলের পুরনির্বাচনের প্রার্থী তালিকা।