মমতার 'বকা' খেলেন বিমান বসু! তারপর আহ্লাদে আটখানা হয়েএক গাল হেসে দিলেন 'জবাব'
বয়স প্রায় আশি ছুঁই ছুঁই। তবে কোনও দুর্বলতা নেই এখনও। এখনও বুক ফুলিয়ে রাজনীতি করছেন। নিজেই ফোন করে মমতার সাক্ষাৎপ্রার্থী হয়েছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। কিন্তু নবান্নে এসেই বকুনি খেতে হল তাঁকে। বিমান বসুকে দেখেই খুব করে বকে দিলেন মমতা। আর তা শুনে বিমান বসু এক গাল হেসে পাল্টাও দিলেন।

বিমানকে দেখেই বকা দিলেন মমতা
করোনার থাবা পড়েছে রাজ্যের বুকেও। সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য লড়াই চালাচ্ছেন মমতা। এই লড়াইয়ের দোসর হতেই এসেছিলেন বিমান। তাঁকে দেখেই কি না মমতা বকে দিলেন। মমতা বলেন- একি বিমানদা, আপনি মাস্ক পরেন না কেন? আপনার বয়স হয়েছে। এখন খুব সাবধানে থাকতে হবে।

মমতার বকুনিতে আহ্লাদে আটখানা বিমান
মমতার এ কথা শুনেই আহ্লাদে আটখানা হয়ে একগাল হেসে দিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। কিন্তু মমতার রাগ তারপরও থামল না। বিমানদা, আপনি খুব সাবধানে থাকুন। কোনও অসুবিধা হলে আমাকে জানাবেন। এরপর আবেগঘন গলায় বিমান বলে ওঠেন- তুমিও অনেক ছোটাছুটি করছ, তোমাকেও সাবধানে থাকতে হবে।

এবার ফিসফ্রাই নয়, অভিভূত সৌজন্যে
এদিন করোনা নিয়ে করোনা আতঙ্কে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে নবান্নে এসেছিলেন বিমান বসুর নেতৃত্বাধীন বাম প্রতিনিধিরা। সেই পরিস্থিতি নিয়ে তাঁদের মধ্য সদর্থক কথা হয়েছে। আর এই আলোচনায় বড় হয়ে উঠেছে মমতার সৌজন্য। না এবার আর ফিসফ্রাই খাওয়াননি বিমান বসুদের। লাল চা খাইয়েছেন। কিন্তু মমতার সৌজন্যে দেখে অভিভূত হয়েছে বিমান বসুরা।

বামেদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা সমীপে দাবি
এদিন বামেরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা সমীপে দাবি জানান, পরিযায়ী শ্রমিকদের যথাযথ চিকিৎসা, রেশন নিয়ে কালোবাজারি বন্ধ করা, প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্রে ফিভার ক্লিনিকের ব্যবস্থার। সর্বদলীয় বৈঠকে তাঁরা যে দাবি করেছিলেন সেই মতো রাজ্য সরকারের পাশে থেকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার বার্তা দেন।

মনতুষ্টি নিয়েই ফিরলেন বিমান বসুরা
এর আগে ২০১৪ সালে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিমান বসুরা। সেইসময় বাম প্রতিনিধি দলকে চা আর ফিসফ্রাই খাইয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সমালোচনা হলেও রাজ্য-রাজনীতিতে সেই বৈঠক অন্য মাত্রা পায়। ফিসফ্রাই বৈঠক নামেই তা এখনও পরিচিত। এবার ফিসফ্রাই না হলেও যে আবহে বৈঠক হল, তাতে মনতুষ্টি নিয়েই ফিরলেন বিমান বসুরা।