'অপূরণীয় ক্ষতি', তাপস পালের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ মমতার স্মৃতিচারণায় পুরনো দিনের কথা
তাপস পালের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। শোকাহত মুখ্যমন্ত্রীও। এককালেক তাবড় এই অভিনেতা প্রিয় 'দিদি'র ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতির পথে পা রাখেন। তৃণমূলের হাত ধরেই রাজনীতিতে হাতে খড়ি তাপস পালের। বাংলার রাজনীতির এক অগ্নিগর্ভ মুহূর্তে মমতার পথকেই আপন করে নিয়েছিলেন তাপস পাল। আর আজ সেই পুরনো সতীর্থ তথা বাংলার জনপ্রিয় এই তারকার জীবনাবসানের খবরে আবেগ চেপে রাখতে পারেননি মমতা।
শোকবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের তরফে একটি শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন ' বিশিষ্ট অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ তাপস পালের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ ভোরে মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।বয়য় হয়েছিল ৬১ বছর।.. ' এরপর তাপস পালের 'দাদার কীর্তি' , ' অনুরাগের ছোঁয়া ' সমেত একাধিক ছবির উল্লেখ করে অভিনেতার ভূয়সী প্রশংসা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
রাজনীতি, মমতা ও তাপস পাল
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শকে সামনে রেখে ২০০১ সালে তৃণমূলের সঙ্গেই রাজনৈতিক পথ চলেছিলেন তাপস পাল। ওই বছরই আলিপুর কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি। গোটা বাংলা তখন এক চরম রাজনৈতিক উত্তাপেরর মধ্যে। এমন এক পরিস্থিতিতে দিকে দিকে বাম দূর্গ পতন করছে ঘাসফুল শিবির। আর এরপরই ২০০৯ সালে নদিয়ার কৃষ্ণনগর থেকে সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হয়ে ফের একবার দিদি মমতার আস্থাভাজন হন তাপস পাল।
শোকবার্তায় মমতার পুরনো স্মৃতি চারণা
শোকবার্তায় মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় তুলে ধরেছেন সেই ২০০৯ সালের পর ফের ২০১৪ সালে নদিয়ার মাটি থেকে তাপস পালের সাংসদ হওয়ার সাফল্যের কথা। হুগলির মহসিন কলেজের ছাত্র তাপস পালের পরিবারের সদস্যদের প্রতিও এদিন সমবেদন জ্ঞাপন করেন মমতা।
মমতার বার্তা
'পশ্চিমবঙ্গ
সরকার
২০১২
সালে
তাঁকে
বিশেষ
চলচ্চিত্র
পুরস্কার
প্রদান
করেছে।
এছাড়া
তিনি
ফিল্মফেয়ার
ও
কলাকার
পুরষ্কার
পান।
তাঁর
প্রয়াণে
অভিনয়
ও
রাজনৈতিক
জগতে
অপূরণীয়
ক্ষতি
হয়েছে।'এমনই
এক
শোকসন্তপ্ত
বার্তা
এদিন
দিয়েছেন
মুখ্যমন্ত্রী
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়।