দলের সর্বাধিনায়ক মমতাই! সর্বসম্মতিতে ফের একবার তৃণমূলের চেয়ারপার্সন হলেন 'অগ্নিকন্যা'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই (Mamata Banerjee)তৃণমূলের (Trinamool Congress) সর্বাধিনায়ক নির্বাচিত হলেন। এদিন কলকাতার নেতাজি ইন্ডোরে (Netaji Indore) নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছিল। পাঁচবছর পরে কলকাতায় এই সাংগঠনিক নির্বাচনের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই (Mamata Banerjee)তৃণমূলের (Trinamool Congress) সর্বাধিনায়ক নির্বাচিত হলেন। এদিন কলকাতার নেতাজি ইন্ডোরে (Netaji Indore) নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছিল। পাঁচবছর পরে কলকাতায় এই সাংগঠনিক নির্বাচনের আয়োজন। নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে সিপিএম এবং কংগ্রেস নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও, তাঁরা তা গ্রহণ করেননি বলেই জানা গিয়েছে। তাঁকে সমর্থনের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রার্থী ছিলেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই
তৃণমূলের দলীয় এই নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। তাঁর বিরুদ্ধে কেউই প্রার্থী হননি। তবে মনোনয়ন দাখিলের পরে তা স্ক্রুটিনি করা হয়। সেই সময় ঠিক হয়ে যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ফের দলের সুপ্রিমো হতে চলেছেন। সেই কারণে ভোটাভুটির কোনও প্রয়োজনই হয়নি। নিয়মনীতি মেনেই সাংগঠনিক নির্বাচন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
রিটার্নিং অফিসার পার্থ চট্টোপাধ্যায়
এদিনের নির্বাচনে তৃণমূলের তরফে রিটার্নিং অফিসার দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, এই নির্বাচনে দলের ডেলিগেটসরাই ভোট দেওয়ার অধিকারী। ডেলিগেটস বলতে দলের বর্তমান সাংসদ, বিধায়করা ছাড়াও দলের বিভিন্ন সংগঠনের প্রধানরা। এছাড়াও দলের প্রাক্তন সাংসদরাও ভোট দেওয়ার অধিকারী। তিনি জানিয়েছিলেন, গোয়া, পঞ্জাব, দিল্লি, হরিয়ানা, বিহার, ত্রিপুরা, মেঘালয়-সহ অন্য রাজ্যের প্রতিনিধিদের পর্যবেক্ষক হিসেবে এদিন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ভরত কল, সোহমের মতো বিশিষ্টজনেরা পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।ও।
২০১৭ সালে শেষ সাংগঠনিক নির্বাচন হয়েছিল
২০১৭ সালে তৃণমূলের শেষ সাংগঠনিক নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময়ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই বছরের সেপ্টেম্বরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গলের জাতীয় ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করেন এবং পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করেছিলেন। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গঠন করা ২১ সদস্যের কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে। পরবর্তী সময়ে অবশ্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেন।
২০২৪-এর আগে রোড ম্যাপ তৈরিতে সাহায্য
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করে তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই থাকা, ২০২৪-এর আগে জাতীয় পর্যায়ে দলের রোডম্যাপ তৈরিতে সাহায্য করবে। ইতিমধ্যেই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ত্রিপুরা, গোয়ার মতো রাজ্যে তৃণমূল ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আগামী দিনে এই কাজে গতি আসবে বলেই মনে করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। বেশ কিছুদিন আগে দলের সংস্কারের কথা ঘোষণা করেছিলেন। এবার তিনি দলের অন্য কোনও পরিবর্তন করেন কিনা এখন সেটাই দেখার।
বাংলার সঙ্গে দেশের ১৮ রাজ্যে ঝেঁপে আসছে বৃষ্টি, হতে পারে তুষারপাতও! একনজরে আবহাওয়ার পূর্বাভাস