মমতা পোডিয়ামে উঠতেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান, মোদীর সামনেই প্রতিবাদে তাল কাটল
আমন্ত্রণ করে কাউকে অপমান করা উচিত নয়। তীব্র প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখতে উঠতেই জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে ওঠেন উপস্থিত দর্শকরা।
আমন্ত্রণ করে কাউকে অপমান করা উচিত নয়। তীব্র প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখতে উঠতেই জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে ওঠেন উপস্থিত দর্শকরা। তিনি এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য না রেখে শুধু ধন্যবাদ দিয়ে নেমে যান পোডিয়াম থেকে। মুহূর্তে তাল কেটে যায় অনুষ্ঠানের।
জয় শ্রীরাম ধ্বনি, ডেকে এনে অপমান
মমতা বলেন, এটা সরকারি অনুষ্ঠান কোনও রাজনৈতিক দলের নয়। তাই সেই সৌজন্যটুকু রাখা উচিত। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বক্তব্য রাখার জন্য ঘোষণা করতেই একদল জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে ওঠেন। তাতেই ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রতিবাদ করে বলেন, ডেকে এনে অপমান করার কোনও অর্থ হয় না।
মমতাকে বহিন বলে সম্বোধন মোদীর
এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর বক্তব্য রাখেননি। তিনি পোডিয়াম ত্যাগ করেন। তবে মঞ্চ ছেড়ে যাননি। তিনি শেষপর্যন্ত মঞ্চেই ছিলেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বক্তব্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রী এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহিন বলে সম্বোধন করেন। এদিন তিনি দিদি বলে ডাকেননি।
মোদী উঠতে স্লোগান ওঠে ভারত মাতা কি জয়
নরেন্দ্র মোদী বক্তব্য রাখতে পোডিয়ামে উঠতেই ফের একদল স্লোগান দিয়ে ওঠেন। এবার অবশ্য জয় শ্রীরাম স্লোগান নয়। স্লোগান ওঠে, ভারত মাতা কি জয়। মোদী অবশ্য সেই স্লোগানে তাল মেলাননি। তিনি নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে এসে নেতাজির তৈরি স্লোগানই দেন। মোদী বলেন জয় হিন্দ।
বাংলা বহু মহামানবের পুণ্যভূমি, মাটিকে প্রণাম
নেতাজি বলেন, তাঁর নামেই সবাই আবেগপ্রবণ হয়ে যায়। এই বাংলা বহু মহামানবের পুণ্যভূমি। এই মাটিকে প্রণাম জানাই। এই বাংলার বীর সন্তান নেতাজি সুভাষচন্দ্র যেমন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন দেখিয়ছিলেন, তেমনই আমাদের জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় স্তোস্ত্রও এই ভূমিতে জন্ম নেওয়া মহামানবের কীর্তি। তিনি এদিন সম্মানের সঙ্গে ভারতরত্ন প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নাম নেন।