পথে নেমেই বিজেপির গতি রুখবেন মমতা! নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদই তাঁর হাতিয়ার
নাগরিকত্ব আইন ফের পথে ফেরাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর এই পথই তাঁকে মাইলেজ দেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
নাগরিকত্ব আইন ফের পথে ফেরাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর এই পথই তাঁকে মাইলেজ দেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। গণ-আন্দোলনকেই হাতিয়ার করে রাজ্য-রাজনীতিতে উত্থান হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বাম শাসনের অবসান ঘটিয়েছিলেন তিনি। ফের পথে নেমে পথ চেনার মাধ্যমেই তিনি বিজেপিকে আটকানোর রসদ জোগাড় করে নেবেন।
রাজনীতিতে মমতা-ব্র্যান্ড
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতিতে ব্র্যান্ড হয়ে গিয়েছে পথে নেমে আন্দোলন। সেই মহাকরণ অভিযান থেকে শুরু, তারপর সিঙ্গুর আন্দোলন থেকে নন্দীগ্রাম, কিংবা নেতাই- পথই তাঁকে পথ দেখিয়েছে। সিঙ্গুরে জাতীয় সড়কে নেমে আন্দোলন করেছিলেন মানুষকে নিয়ে। গণ আন্দোলনের রূপ দিয়েছিলেন সিঙ্গুরকে, নন্দীগ্রামকেও।
গণ আন্দোলনে বারবার পথে
হালে কলকাতা পুলিশের শীর্ষকর্তা রাজীব কুমারের পাশে দাঁড়িয়ে ধর্মতলায় ধর্নায় বসেছেন। সিবিআই চিটফান্ড কেলেঙ্কারির মামলায় তৃণমূল নেতাদের ফাঁসাচ্ছে দাবি তুলে মমতার প্রতিবাদ বর্ষিত হয়েছিল এই রাস্তা থেকেই। এবারও কোনও ব্যতিক্রম নেই তাতে। মুখ্যমন্ত্রী নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে গণ আন্দোলনে সামিল হয়েছেন সেই পথে নেমেই।
ইতিমধ্যেই তিনটি বড় মিছিল
ইতিমধ্যে দু'টি বড় প্রতিবাদ মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এদিন অর্থাৎ বুধবার আরও একটা প্রতিবাদ মিছিল হল হাওড়া থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত। সেখানেও নেতৃত্বে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে সেভাবে বাংলার কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে পথে নামতে দেখেনি জনতা।
বিরোধী নেত্রী আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা একই
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিচ্ছেন তিনি বিরোধী নেত্রী হিসেবে যেমন রাস্তায় নেমে গণ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, মানুষের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও গণ আন্দোলন গড়ে তুলতে পথকেই করবেন মাধ্যম। পথে নেমেই প্রতিবাদ হবে। গণ আন্দাোলনে রূপ দেবেন তাঁর প্রতিবাদকে।
পথে নেমে মিছিলই নয়, সংযোগও
শুধু পথে নেমে মিছিলই নয়, এত মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ সাদনও হচ্ছে কথা হচ্ছে। মানুষের সাড়া বুছে নিতে পারছেন। আর এই মিছিল থেকে মানুষকে সামনে থেকে বার্তা দিতে পারছেন-‘আমার জীবন দিতে পারি, তবে ঘৃণার রাজনীতির কাছে মাথা নত করব না'
বিজেপির উত্থানে তৃণমূলের পথ
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ধাক্কা খেয়েছিল। ৩৪টি আসন থেকে তাঁদের প্রাপ্তি কমে দাঁড়িয়েছিল ২২টিতে। দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দল হিসেবে বিজেপির উত্থান হয়েছিল বাংলায়। তারা রাজ্যে মাত্র ২ থেকে বেড়ে ১৮-য় পৌঁছে গিয়েছিল। স্বভাবতই তৃণমূল ব্যাকফুটে পড়ে গিয়েছিল বিজেপির উত্থানে।
পছন্দের পথেই আন্দোলনের রূপরেখা
নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন এবং এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভকে গণ আন্দোলনের রূপ দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই বেছে নিয়েছেন পথকে। এই আন্দালন থেকেই ফের অক্সিজেন নিয়ে বাংলার বুকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতে চাইছেন মমতা। মোট কথা বিজেপি খন নাগরিকত্ব আইন পাস করে ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ, তখন মমতা তাঁর পছন্দের পথেই আন্দোলনের রূপরেখা দিলেন।
শোভনের তৃণমূলে ফেরার পথে কাঁটা বিছিয়ে দিলেন পার্থ! জল্পনার পারদ তুঙ্গে